বিশ্বকাপ ফাইনালের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সান্ত্বনা মহম্মদ শামিকে। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের পর ভারতীয় দলের সাজঘরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, মহম্মদ শামিদের সান্ত্বনা দেন। উৎসাহিত করেন। মোদীর এই ভূমিকায় মুগ্ধ পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতার। পাকিস্তান কেন এমন প্রধানমন্ত্রী পায় না, তা নিয়ে পরোক্ষে কিছুটা আক্ষেপও ধরা পড়েছে তাঁর কথায়। যদিও সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি শোয়েব।
একটি অনুষ্ঠানে শোয়েব বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেটারদের কাছে গিয়েছেন। ফাইনালে হাতাশাজনক হারের পর ভারতীয় দলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। কত সহজ ভাবে মিশেছেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। ওদের আবেগ ভাগ করে নিয়েছেন। কঠিন সময় নিজের সন্তানের মতো করে আগলে রাখার চেষ্টা করেছেন ক্রিকেটারদের। ওদের মনোবল, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির চেষ্টা করেছেন। ওদের খেলার প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর ওই পদক্ষেপ সত্যিই দারুণ ছিল।’’
ফাইনালের পর শুধু ভারতীয় দলের সাজঘরেই যাননি মোদী। সমাজমাধ্যমেও রোহিত, কোহলিদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘প্রিয় ভারতীয় দল, পুরো বিশ্বকাপে আপনাদের সংকল্প এবং প্রতিভা লক্ষণীয় ছিল। আপনাদের সংহতিও ছিল দেখার মতো। আপনারা দারুণ খেলেছেন। দেশকে গর্বিত করেছেন। আমরা সব সময় আপনাদের পাশে রয়েছি।’’
প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন ভারতীয় দলের সদস্যেরাও। রবীন্দ্র জাডেজা, শামিরা সমাজমাধ্যমে মোদীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন পাশে থাকার জন্য। তাঁরা বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহ তাঁদের আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।
কঠিন সময় দেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো ব্যক্তিত্বের এ ভাবে পাশে দাঁড়ানো শোয়েবের কাছে অভাবনীয় মনে হয়েছে। তাতেই মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তানের নেতৃত্বের মানসিকতা নিয়ে হয়তো তাঁর মধ্যে আক্ষেপ রয়েছে।