ট্রফি হাতে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক সরফরাজ় আহমেদ। শেষ বার তাঁর নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল পাকিস্তান। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দাবি মানতে বাধ্য হল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পাকিস্তানে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ট্যুর। কিন্তু পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সেই ট্রফি ঢুকবে না। ভারতের আপত্তির পরে পাকিস্তানকে এই নির্দেশ দিয়েছিল আইসিসি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার সেই নির্দেশ মানতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান।
১৬ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ঘুরবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড প্রথমে জানিয়েছিল, স্কার্দু, মুরি এবং মুজফ্ফরাবাদে যাবে এই ট্রফি। এই তিনটি শহর পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে। পিসিবি এই তালিকা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে আপত্তি করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। জানা গিয়েছিল, আইসিসির সঙ্গে আলোচনা না করেই শহরের তালিকা ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্জ। আইসিসিকে জয় শাহ অভিযোগ করেছিলেন, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে কোনও মতেই যেন ট্রফি না যায়। পাকিস্তান বোর্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছিলেন তিনি। তার পরেই আইসিসি নির্দেশ দেয় পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ট্রফি ঢুকবে না।
এই বিষয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক বলেন, “আইসিসির সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের আলোচনা হয়েছে। কোথায় কোথায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যাবে তা নিয়ে পিসিবি ও আইসিসি যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জয় শাহ আইসিসির কাছে অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের পরেই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়েছে।”
আইসিসির নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন শাহ। ১ ডিসেম্বর থেকে দায়িত্ব নেবেন তিনি। সেই কারণে তাঁর আপত্তির গুরুত্ব রয়েছে আইসিসির কাছে। সেই গুরুত্বের কাছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দাবি ধোপে টেকেনি। আইসিসির এই সিদ্ধান্তের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তা হলে কি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তান থেকে সরে যাবে? কারণ, ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সে দেশে খেলতে যাবে না। ভারতকে বাদ দিয়ে এত বড় প্রতিযোগিতা আয়োজনের ঝুঁকি আইসিসি নেবে না।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাকিস্তানে হওয়ার কথা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতাটি। ১৯ ফেব্রুয়ারি তা শুরু হতে পারে। ফাইনাল হতে পারে ৯ মার্চ। সেই কারণেই পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ট্রফি ট্যুরের আয়োজন করেছে পিসিবি। গত বছর এক দিনের বিশ্বকাপের সময়ে যেমন ভারতের বিভিন্ন শহরে ট্রফি এসেছিল। কলকাতাতেও ট্রফি এসেছিল সেই সময়। ইসলামাবাদে পৌঁছে গিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাহাড় চূড়া কেটু-তে যাবে সেই ট্রফি। যদিও লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিণ্ডিতে ট্রফি নিয়ে যাওয়া হবে না। সেখানে প্রচুর কুয়াশা। সেই কারণেই ট্রফি নিয়ে যাওয়া হবে না এই তিন শহরে।