চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারতকে এখনও নিশানা করে চলেছে পাকিস্তান। —ফাইল চিত্র।
অবশেষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জট কেটেছে। হাইব্রিড মডেল-এ হবে প্রতিযোগিতা। অর্থাৎ, ভারত তাদের সব ম্যাচ অন্য দেশে খেলবে। বাকি সব খেলা হবে পাকিস্তানে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারতকে নিশানা করলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদ। তাঁর অভিযোগ, মাঠে খেলতে নামলেও হয়তো ভিসা নিয়ে সমস্যা করত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
শেহজাদের দাবি, পাকিস্তানে খেলা হলে ভারত কোনও না কোনও ভাবে ঠিক সমস্যা করে। এ বারও সেটাই দেখা গিয়েছে। তিনি বলেন, “সীমান্তে একটা স্টেডিয়াম বানান। যার এক দিকের দরজা ভারতের দিকে থাকবে। অন্য দিক পাকিস্তানে। দু’দিকের ক্রিকেটারেরা নিজেদের দেশ দিয়েই ঢুকবে। তার পরেও ভারত সমস্যা করবে। বলবে, মাঠে যদি পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা ভারতের দিকে চলে আসে তা হলে ওদের ভিসা দেব না।”
ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেরও সমালোচনা করেছেন শেহজাদ। তাঁর মতে, পাক বোর্ডের উচিত ছিল নিজেদের দাবিতে অনড় থাকা। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের কাছে দুর্দান্ত সুযোগ ছিল। ২০২১ সালে আইসিসি পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছিল। তা হলে কেন পাকিস্তান চাপে পিছু হটল। ভারতকে পাকিস্তানে নিয়ে আসার এটাই শেষ সুযোগ ছিল। এর পর থেকে আর সেই সুযোগ পাওয়া যাবে না। আমার মনে হয়, ভবিষ্যতে পাকিস্তানকে তেমন বড় প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্বও আর দেওয়া হবে না।”
পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়ার পরেই বেঁকে বসেছিল ভারত। বিসিসিআই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, পাকিস্তানে খেলতে যাবেন না রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। নিরপেক্ষ কোনও দেশে খেলা আয়োজনের আবেদন জানিয়েছিল তারা। পাকিস্তান প্রথমে এতে রাজি ছিল না। অনেক আলোচনার পরে অবশেষে তারা রাজি হয়। তবে তারা পাল্টা দাবি জানায় যে, ভারতে কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতা হলে তারাও এ দেশে আসবে না। নিরপেক্ষ দেশে খেলবে। পাকিস্তানের সেই দাবিও মেনে নিয়েছে আইসিসি। আপাতত ২০২৭ সাল পর্যন্ত দু’দেশ দু’দেশের মাটিতে খেলতে যাবে না।
প্রথমে ঠিক ছিল, নিরপেক্ষ দেশ হিসাবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে নিজেদের ম্যাচ খেলবে ভারত। কিন্তু পাকিস্তানের তাতে আপত্তি রয়েছে। তারা চাইছে, ভারতের ম্যাচগুলি শ্রীলঙ্কাতে হোক। এই সমস্যায় এখনও পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ঘোষণা করতে পারেনি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।