Pat Cummins

পাঁচ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড কামিন্সের! রিজওয়ান, জামালের ব্যাটে মুখরক্ষা পাকিস্তানের

শুরু থেকেই ব্যাটিংয়ে ধস। এক সময়ে ৯৬ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে মহম্মদ রিজওয়ান এবং আমের জামালের সৌজন্যে তৃতীয় টেস্টে কিছুটা মুখরক্ষা হল পাকিস্তানের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:০৯
cricket

পাঁচ উইকেটের উচ্ছ্বাস কামিন্সের। ছবি: এক্স।

শুরু থেকেই ব্যাটিংয়ে ধস। এক সময়ে ৯৬ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটারদের সৌজন্যে তৃতীয় টেস্টে কিছুটা মুখরক্ষা হল পাকিস্তানের। মহম্মদ রিজওয়ানের লড়াই এবং শেষ দিকে আগা সলমন এবং আমের জামালের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩১৩ তুলল পাকিস্তান। জবাবে দিনের অস্ট্রেলিয়া ৬-০। অসিদের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং প্যাট কামিন্সের।

Advertisement

প্রথম দুই টেস্টে হেরে যাওয়ার পরে পাকিস্তানের কাছে তৃতীয় টেস্ট সম্মানরক্ষার লড়াই। ১৬ বছরেও অস্ট্রেলিয়ায় কোনও টেস্ট জেতেনি তারা। সিডনিতে তৃতীয় টেস্টে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পাকিস্তান। দ্বিতীয় বলেই ফিরে যান আবদুল্লাহ শফিক। দ্বিতীয় ওভারে ফিরে যান নবাগত সাইম আয়ুব।

শান মাসুদ এবং বাবর আজম মিলে প্রাথমিক ধস সামলান। কিন্তু বেশি ক্ষণ জুটি গড়তে পারেননি। ১১ ওভারের মাথায় বাবরকে (২৬) ফেরান কামিন্স। কিছু ক্ষণ পরেই ফেরেন সাউদ শাকিল (৫)। এর পর ৩০ ওভারের মধ্যে মাসুদ (৩৫)। ব্যাপক চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। আশঙ্কা শুরু হয়ে যায় যে পাকিস্তান আদৌ ১৫০ পেরোতে পারবে কি না। কিন্তু দেড়শোই নয়, পাকিস্তান তার দ্বিগুণ রান তুলে ফেলল তিন ব্যাটারের সৌজন্যে।

প্রথম লড়াইটা শুরু হয়েছিল রিজওয়ানের হাত ধরেই। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের পাল্টা চাপে ফেলে আগ্রাসী খেলা শুরু করেন তিনি। সঙ্গে যোগ দেন সলমন। ষষ্ঠ উইকেটে ৯৪ রানের জুটি তৈরি হয়। রিজওয়ান ফেরার কিছু ক্ষণ পর সাজিদ খানও (১৫) এবং সলমনও (৫৩) ফিরে যান। শেষের দিকে একাই লড়াই করেন জামাল। নবম উইকেট পড়েছিল ২২৭ রানে। শেষ ব্যাটার মীর হামজ়ার সঙ্গে দশম উইকেটে ৮৬ রানের জুটি গড়েন জামাল। ২৩ ওভার স্থায়ী হয় তাঁদের জুটি।

এক ওভারের জন্য ব্যাট করতে নামতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে। নিজের শেষ টেস্টে ওয়ার্নার চার মেরে শুরু করলেও সাজিদের বলে বেশ বিপদে পড়েন। তবে উইকেট খোয়ায়নি অস্ট্রেলিয়া।

দিনের শুরুটা হয়েছিল ওয়ার্নারকে দিয়েই। তিন মেয়ের সঙ্গে তিনি দলকে নিয়ে মাঠে নামেন। ঘরের মাঠে দর্শকেরা করতালিতে ভরিয়ে দেন। পরে ব্যাট করতে নামার সময় ওয়ার্নারকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেন পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা।

এ দিকে, কামিন্স বুধবার একটি নজির গড়েছেন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে সর্বাধিক উইকেটশিকারি হয়েছেন তিনি। ৩৮ ম্যাচে ১৬৩ উইকেট হয়েছে তাঁর। টপকেছেন স্বদেশি নেথান লায়নকে (১৬২), যিনি এ দিন একটিও উইকেট পাননি। তৃতীয় স্থানে আছেন ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন (১৪৮)।

Advertisement
আরও পড়ুন