রাজস্থানের বিরুদ্ধে আউট হয়ে ফিরছেন ঋষভ পন্থ। ছবি: রয়টার্স।
আগের ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করেছিলেন ঋষভ পন্থ। দেখে মনে হয়েছিল, এ বার ফর্মে ফিরবেন তিনি। কিন্তু তা হল না। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধেও ব্যর্থ তিনি। ন’বল খেলে মাত্র তিন রান করে ফিরলেন লখনউয়ের অধিনায়ক। এডেন মার্করাম ও আয়ুষ বদোনি লখনউয়ের ইনিংস টানলেন। তাঁদের ব্যাটে রাজস্থানের সামনে ১৮১ রানের লক্ষ্য দিল লখনউ।
সকলকে অবাক করে দিয়ে টস জিতে রাজস্থানের ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ঋষভ। এই ম্যাচে খেলেননি রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। নেতৃত্ব দিচ্ছেন রিয়ান পরাগ। শুরুটা ভাল হয়নি লখনউয়ের। তৃতীয় ওভারেই ফর্মে থাকা মিচেল মার্শকে ৪ রানে ফেরান জফ্রা আর্চার। আইপিএলের কমলা টুপির মালিক নিকোলাস পুরানও রান পাননি। ১১ রান করে সন্দীপ শর্মার বলে আউট হন তিনি।
পাওয়ার প্লে-র মধ্যে জোড়া উইকেট পড়ায় ইনিংস ধরার দায়িত্ব ছিল পন্থের। কিন্তু তিনি কী করলেন? শুরু থেকে ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। দৌড়ে রান নিতে পারছিলেন না। মনে হচ্ছিল, শুরুটা একটু সাবধানে করতে চাইছেন। তখনই আরও এক বার দেখা গেল তাঁর দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং। ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গের বলে রিভার্স সুইপ মারতে যান পন্থ। বল ব্যাটের কানায় লাগে। প্রথম চেষ্টায় ধরতে না পারলেও দ্বিতীয় চেষ্টায় বল তালুবন্দি করেন উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুরেল। ৫৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় লখনউ।
বাধ্য হয়ে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে বদোনিকে নামানো হয়। সেই সিদ্ধান্ত খেটে যায়। ওপেনার মার্করাম ভাল খেলছিলেন। তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধেন বদোনি। দুই ব্যাটার দলের রান টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। রান তোলার গতিও কিছুটা বাড়ান তাঁরা। দু’জনের মধ্যে ৭৬ রানের জুটি হয়। অর্ধশতরান করেন মার্করাম। দলকে বড় রানে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁদের। তখনই ছন্দপতন।
৬৬ রান করে হাসরঙ্গের বলে ফেরেন মার্করাম। ৫০ রান করে তুষার দেশপাণ্ডের বলে আউট হন বদোনি। তাঁরা ফেরায় আবার চাপে পড়ে যায় লখনউ। শেষ ওভারে কয়েকটি বড় শট মারেন আব্দুল সামাদ। ফলে লখনউয়ের রান ১৬০ পার হয়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান করে লখনউ। সামাদ ১০ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন।