ঋষভ পন্থ। —ফাইল চিত্র।
প্রথমে ব্যাট করে ২৩৮ রান করেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্রথম ইনিংসের পর লখনউয়ের অধিনায়ক ঋষভ পন্থের মনে হয়েছিল, সহজেই খেলা জিতে যাবেন। কলকাতা নাইট রাইডার্স যে এত ভাল লড়াই করবে তা প্রথমে ভাবতেই পারেননি তিনি। কখন তা বুঝতে পারেন পন্থ? সেই সময় বোলরাদের কী বুদ্ধি দিয়েছিলেন তিনি?
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাট করা শুরু করে কেকেআর। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে ওঠে ৯০ রান। সেই সময় পন্থের মনে হয়েছিল খেলা শেষ পর্যন্ত যাবে। তিনি বলেন, “ব্যাট করার সময় ভাবতেই পারিনি খেলা এত দূর যাবে। ওদের পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর সেটা বুঝতে পারি। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে।” লড়াই করেও হারতে হয়েছে কেকেআরকে। ঘরের মাঠে ৪ রানে হেরেছেন অজিঙ্ক রাহানেরা।
কঠিন পরিস্থিতিতে লখনউয়ের বোলারদের বুদ্ধি বাতলে দিয়েছিলেন পন্থ। তিনি বলেন, “প্রথম টাইম-আউটের সময় বোলারদের বলি, যা পরিকল্পনা হয়েছে সেই অনুযায়ী বল করতে। বেশি কিছু করার চেষ্টা না করতে। ওরা সেটাই করেছে। আমরা বলের গতির হেরফের করার চেষ্টা করেছি। মাঠের বড় বাউন্ডারি ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি।”
ম্যাচ জিততে যখন কেকেআরের ৪৮ বলে ৯০ রান দরকার ঠিক সেই সময় একটি চালাকি করেন পন্থ। কাজে লেগে যায় লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়কের পরিকল্পনা। ম্যাচ শেষে সেই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন পন্থ। ১৩তম ওভারের আগে পন্থকে দেখা যায় মাঠে শুয়ে রয়েছেন। দেখে মনে হচ্ছিল, কোমরে ব্যথা হচ্ছে তাঁর। লখনউয়ের ফিজিয়ো নেমে তাঁকে পরীক্ষা করে দেখেন। কয়েক মিনিট সময় নষ্ট হয় তাঁতে। খেলা বন্ধ থাকে। খেলা শুরু হওয়ার পর সেই ওভারেই আউট হন রাহানে। তার পর থেকে নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৪ রানে হারে কেকেআর।
গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
পন্থ জানিয়েছেন, খেলার গতি কমানোর জন্য ইচ্ছা করে সময় নষ্ট করেছেন তিনি। ম্যাচ শেষে লখনউয়ের অধিনায়ক বলেন, “অনেক ভেবেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তখন কলকাতা ভাল ব্যাট করছিল। মনে হচ্ছিল হেরে যাব। তাই কিছু একটা করতেই হত। ওদের ছন্দ নষ্ট করার প্রয়োজন ছিল। সেটাই করেছি। কখনও সেই পরিকল্পনা কাজে লেগে যায়। কখনও লাগে না। এই ম্যাচে লেগেছে।”