ভারত এবং পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সমর্থকেরা। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে। ১৪ অক্টোবর সেই ম্যাচ দেখার জন্য সারা ভারতের বহু ক্রিকেটপ্রেমী আমদাবাদের উদ্দেশে রওনা হবেন। কিন্তু সেখানে যাওয়া এবং থাকার ব্যবস্থা করতে কালঘাম ছুটছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। ভারতীয় বোর্ডের তরফে যদিও বলা হয়েছে যে, বিশ্বকাপের সব ম্যাচ দেখার জন্য সুবন্দোবস্ত করা হবে।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ছিল ১৫ অক্টোবর। কিন্তু সেই দিন পরিবর্তন করা হয়। গত বারের বিশ্বকাপে প্রায় এক বছর আগে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই বছর এখনও পর্যন্ত টিকিট বিক্রি শুরু হয়নি। ২৫ অগস্ট থেকে শুরু হবে। অর্থাৎ বিশ্বকাপ শুরুর দু’মাস আগেও কোনও টিকিট হাতে পাননি সমর্থকেরা। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট পাওয়া যাবে ৩ সেপ্টেম্বর। সেটাও শুধু অনলাইন টিকিট। যে টিকিট কেনার পর সমর্থকদের অপেক্ষা করতে হবে ছাপা টিকিট সংগ্রহ করার জন্য। অনেক সমর্থকই টিকিট কেটে তার পর আমদাবাদে হোটেলের ব্যবস্থা করতে চাইছেন। সময় যত যাবে, তত থাকার খরচ বাড়বে। বিমানের টিকিটের দামও বাড়বে।
আমদাবাদে যে হোটেলের ভাড়া ছিল দৈনিক চার হাজার টাকা, সেটাই এখন ৬০ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে। বিলাসবহুল হোটেল হলে খরচ আরও অনেক বেশি। কোনও কোনও হোটেলে দু’রাত্রি থাকার জন্য খরচ তিন লক্ষ টাকার বেশি। মুম্বইয়ের এক স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ সঞ্চিত দেশাই বলেন, “আমাদের ১৪ অক্টোবর আমদাবাদ যাওয়ার ট্রেনের টিকিট কাটা হয়ে গিয়েছে। হোটেলও ভাড়া নেওয়া আছে। কিন্তু দিন বদল নিয়ে নানা ধরনের কথা শুরু হয়। আমরা সেই জন্য ১৩ অক্টোবরের টিকিটও কেটেছি। কিন্তু আমাদের হোটেল ১৪-১৫ তারিখের জন্য বুক করা ছিল। সেটা পাল্টে ১৩-১৪ করতে গিয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকা খরচ করতে হয়েছে। ১৫ অগস্টের বুকিং বাতিলও করা যায়নি। জানি না ওই দিন আমরা আমদাবাদে কী করব। হয়তো নবরাত্রি উপভোগ করব।”
চেন্নাইয়ের বাসিন্দা রবিন এসকে বলেন, “আমি ম্যাচের টিকিট পাওয়ার অপেক্ষা করছি। বিমানের টিকিটের দাম প্রায় ১০ হাজার টাকা বেড়ে গিয়েছে। তাই বিমানের টিকিট বা হোটেল খরচ কী হবে বুঝতে পারছি না। আগে টিকিট পাই, তার পর ভাবব।” কলকাতার এক কলেজপড়ুয়া সৌনভ বাগুই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে যাবেন বলে ঠিক করেছেন। ট্রেনের টিকিট কাটা হয়ে গিয়েছে তাঁর। হোটেল এখনও বুক করেননি। ম্যাচের টিকিট পেলে তবেই হোটেলের কথা ভাববেন। তিনি বলেন, “আমার আমদাবাদ পৌঁছানোর কথা ১৪ অক্টোবর সকালে। যে হেতু ১৫ অক্টোবর ম্যাচ ছিল, সেই হিসাবে টিকিট কেটেছিলাম। এখন ম্যাচ এগিয়ে এসেছে। তাই চিন্তা রয়েছে ট্রেন ঠিক সময় পৌঁছাবে কি না সেটা নিয়ে।”
ভারতীয় সমর্থকদের এমন অবস্থা হলে পাকিস্তান থেকে যে সব ক্রিকেটপ্রেমী খেলা দেখতে আসবেন, তাঁদের কী ব্যবস্থা হবে, তা নিয়ে চিন্তা থাকছেই। ২০১১ বিশ্বকাপের সময় ভারত সরকার ভিসা দিয়েছিল পাকিস্তানের সমর্থকদের। এ বারে যদিও সেটা তাঁরা পাবেন কি না এখনও জানা যায়নি।