আউট রাহানে। ছবি: পিটিআই।
১১২ রানের লক্ষ্য থাকলেও জিততে পারল না কলকাতা। হেরে গেল পঞ্জাবের কাছে।
চহলকে এক ওভারে দুটি ছয় এবং একটি চার মারলেন রাসেল। এখনও পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হওয়া রাসেল কি পারবেন আসল সময়ে নায়ক হয়ে উঠতে? তাঁর সামনে মঞ্চ তৈরি।
মাত্র ৩৬ রান বাকি। সেটাও এখন কেকেআরের কাছে পাহাড়়প্রমাণ লাগতে শুরু করেছে। কারণ কোনও ব্যাটার ক্রিজ়ে দাঁড়াতে পারছেন না। একের পর এক উইকেট হারাচ্ছে কেকেআর। রমনদীপ এত খারাপ শট প্রথম বলে খেলতে পারেন এটা ধারণাতেই ছিল না কারও।
আড়াআড়ি খেলা ছাড়া কোনও শট শেখেননি বেঙ্কটেশ। ২৪ কোটির ক্রিকেটারকে পুরনো ভুল করতে বাধ্য করলেন ম্যাক্সওয়েল। সুইপ শট খেলতে গিয়ে আউট হলেন তিনি। কেকেআর এখান থেকে ম্যাচ হেরে গেলে তার থেকে খারাপ কিছু হবে না। কারণ ওভার প্রতি চার রানেরও কম দরকার।
হঠাৎ করেই চাপে কেকেআর। ক্রিজ়ে জমে যাওয়া রাহানে আগেই আউট হয়েছিলেন। এ বার অঙ্গকৃশও ফিরে গেলেন। এ বার যাঁরা নামবেন তাঁদের স্বভাবই চালিয়ে খেলা। তবে জিততে আর ৪০ রান বাকি। খুব একটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয় কেকেআরের।
ফিল্ডিংয়ের চরম খারাপ নমুনা বার্টলেটের। বেঙ্কটেশের সুইপ তিনি হাতে ধরে ফেলেছিলেন। কিন্তু ছু়ড়তে গিয়ে বল ফস্কে বাউন্ডারি পেরিয়ে গেল। কেকেআর পেল পাঁচ রান। কারণ বার্টলেট বল হাতে ধরার মধ্যে এক রান নিয়েছেন বেঙ্কটেশ। হাত থেকে বল ফস্কানোয় সেটি ওভারথ্রো হিসাবে ধরা হয়েছে। ফলে মোট পাঁচ রান হয়েছে।
যদি ১১২ রান ১৪.১ ওভারের মধ্যে তুলতে পারে কেকেআর, তা হলে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে চলে যাবে তারা। পারবেন রাহানেরা?
মনে হচ্ছে পঞ্জাবও দ্রুত খেলা শেষ করতে চাইছে। দু’বার খারাপ ফিল্ডিং শশাঙ্কের। প্রথম বার বলের দিকে দৌড়েও ধরতে পারলেন না। দ্বিতীয় বার ঝাঁপিয়ে বল ধরে ফেললেও শশাঙ্ক উঠে দাঁড়ানোর আগেই সেটি চার হয়ে গেল। একটি চার বাঁচাতে ব্যর্থ চহলও। কম রানের পুঁজি থাকলেও লড়াই করতে পারছে না পঞ্জাব।
লক্ষ্য বেশি বড় নয়। অকারণে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে দু’টি উইকেট খোয়াল কেকেআর। নারাইনের পরে ফিরলেন ডি’ককও। কেকেআরের উচিত এই মুহূর্তে ধরে খেলা যাতে হাতে উইকেট থাকে।
মার্কো জানসেনের বলে বোল্ড নারাইন। ক্রশ ব্যাটে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করলেন কেকেআর অলরাউন্ডার। কেকেআর ৭/১।
আগের ম্যাচগুলির মতোই ওপেন করতে নেমেছেন ডি’কক এবং নারাইন।
কেকেআরের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে কোনও মতে ১০০ পার করল পঞ্জাব। কিন্তু এই রান কখনওই লড়াকু নয়। কেকেআরের উচিত দ্রুত এই রান তুলে রান রেট বাড়িয়ে নেওয়া।
সূর্যাংশ এবং জানসেন দু’জনেই ঠকে গেলেন নারাইনের বোলিংয়ে। বল বুঝতেই পারেননি। নারাইন কেন কেকেআরে এতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আবার বোঝা যাচ্ছে।
নারাইনের বলে বোকা বনে ডি’ককে ক্যাচ দিলেন ইমপ্যাক্ট সূর্যাংশ (৪)। গ্যালারিতে শ্রেয়স হতাশ মুখে বসে রইলেন। পুরনো দলের কাছে এই অবস্থা যে মেনে নিতে পারছেন না, সেটা বোঝা গিয়েছে।
ব্যাটিংয়ে ধস নামায় সূর্যাংশ শেড়গেকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামিয়ে দিল পঞ্জাব। ফলে বোলিংয়ের সময় কাউকে পাবে না তারা। শশাঙ্ক সিংহের ব্যাটিং পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত ছিল তাদের। এটা কি পঞ্জাবের আর একটি ভুল?
পঞ্জাবের ব্যাটারেরা বার বার মারতে গিয়ে আউট হচ্ছেন। উইকেটে একটু টিকে থাকলে যেখানে রান করা সম্ভব, সেখানে সাহসী শটের দিকে ঝুঁকে উইকেট খোয়াচ্ছে পঞ্জাব। পাঁচ উইকেট পড়ে গেল। এ বার ফিরলেন ওয়াধেরা (১০)।
হর্ষিত যে হেতু তিনটি উইকেট পেয়ে ফর্মে রয়েছেন তাই তাঁকে দিয়ে টানা তিন ওভার বল করিয়ে নিলেন রাহানে। তিন ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়েছেন হর্ষিত। তাঁর একটা ওভার রেখে দেওয়া হল শেষ দিকের জন্য।
শুরুটা যে ভাবে করেছিল, সেটা পঞ্জাব বজায় রাখতে পারল না। পর পর দু’টি উইকেট হারাল তারা। পঞ্জাবের জার্সিতে প্রথম বার নেমে ইংলিস করলেন ২ রান। কেকেআরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে যে সংযম দেখানো দরকার সেটাই পারছেন না পঞ্জাবের ব্যাটারেরা। ফলে রান তোলার গতি অনেকটাই কমে গিয়েছে।
ফিল্ডার হিসাবে এমনিতেই সুনাম রয়েছে তাঁর। সেটা আরও এক বার প্রমাণ করলেন রমনদীপ। হর্ষিতের বলে শ্রেয়সের ক্যাচ নিলেন সামনের দিকে অনেকটা ঝাঁপিয়ে। কেকেআরের গত বারের ট্রফিজয়ী অধিনায়ক ফিরলেন শূন্য রানে।
বুদ্ধি কাজে লাগালেন হর্ষিত। প্রথম বলেই ছয় খেয়েছিলেন আর্যের কাছে। ডিপ স্কোয়্যার লেগে ফিল্ডার রয়েছে দেখে সে দিকেই পরের বলটি করেন। আর্য তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন রমনদীপের হাতেই।