শ্রেয়সের কাছে পরামর্শ চাইতে যান হর্ষিত-রিঙ্কুরা
Kolkata Knight Riders

রভম্যানে জোর নাইটদের, খেলতে পারেন নখিয়াও

প্র্যাক্টিসের মাঝেই হাসি-ঠাট্টা করছিলেন যুজ়বেন্দ্র চহাল, আরশদীপ সিংহরা। কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরের পরিবেশ ছিল থমথমে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৩৮
আকর্ষণ: ইডেনে অনুশীলনের ফাঁকে পঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারের সঙ্গে হর্ষিত রানা।  

আকর্ষণ: ইডেনে অনুশীলনের ফাঁকে পঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারের সঙ্গে হর্ষিত রানা।   ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

দুই শিবিরের ছবিটা ছিল ভিন্ন। পঞ্জাব কিংস শিবিরের প্রত্যেকে ফুরফুরে মেজাজে অনুশীলন করছিলেন। প্র্যাক্টিসের মাঝেই হাসি-ঠাট্টা করছিলেন যুজ়বেন্দ্র চহাল, আরশদীপ সিংহরা। কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরের পরিবেশ ছিল থমথমে। গরমের পাশাপাশি ব্যর্থতার ধাক্কায় হতাশা বাড়ছে অজিঙ্ক রাহানেদের।

শনিবার আবার প্রাক্তন নাইট নেতা শ্রেয়স আয়ারদের বিরুদ্ধে ম্যাচ। মুল্লানপুরে এই দলের বিরুদ্ধে ১১২ রান তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছিল কেকেআর। অলআউট হয় ৯৫ রানে। সেই ম্যাচের ব্যর্থতা যে কেকেআর এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি, তা অনুশীলনেই পরিষ্কার হয়ে যায়।

ইডেনে শ্রেয়স নামতেই তাঁর দিকে তাক করে সব ক্যামেরা। যেন নিজের মাঠেই ফিরলেন রাজা। নাইট সিইও বেঙ্কি মাইসোর তাঁর দিকে তাকিয়েও কথা বললেন না। কিন্তু হর্ষিত রানা, রিঙ্কু সিংহেরা পঞ্জাব শিবিরে গিয়ে শ্রেয়সের সঙ্গে কথা বলে আসেন। তাঁদের অঙ্গভঙ্গি দেখে আন্দাজ করা গেল, শ্রেয়স তাঁদের কোনও পরামর্শ দিচ্ছেন। গত বার নাইটদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নেপথ্যে এই ত্রয়ীর অবদান ছিল। কিন্তু শ্রেয়স দল থেকে চলে যাওয়ার পরে ভরাডুবির মুখে কেকেআর। জয়ের ভাগ্য কি আদৌ ফিরবে কেকেআরের?

ভাগ্য়ের চাকা ঘোরাতেই কি রভম্যান পাওয়েলের উপরে বেশি জোর দেওয়া হল? এ দিন দীর্ঘক্ষণ নেটে ব্যাট করানো হয় পাওয়েলকে। আন্দ্রে রাসেলকে ব্যাট দেওয়া হয় একেবারে শেষে। ক্যারিবিয়ান তারকা যদিও ইডেনের ইন্ডোরে গিয়ে ব্যক্তিগত অনুশীলন করেছেন। মূল অনুশীলনে তাই হয়তো বেশি কিছু করলেন না। আরও এক জনকে বাড়তি প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়। তিনি অনরিখ নখিয়া। মইন আলিকে শেষ ম্যাচে খেলিয়ে কোনও লাভ হয়নি নাইটদের। পিচ থেকে সাহায্যও পাননি। ইডেনে নখিয়ার গতি ও বাউন্স কাজে লাগাতে পারে কেকেআর। বৃহস্পতিবার স্পট বোলিং করানো হয় নখিয়াকে। ইয়র্কার দেওয়ার অনুশীলনও করেন। প্রথম একাদশে তাঁকে কি দেখা যাবে?

খোঁজ নিয়ে জানা গেল, গুজরাত ম্যাচের পিচেই খেলা হবে পঞ্জাব ম্যাচ। ফলে আগের ম্যাচের মতো বাউন্স নাও থাকতে পারে। স্পিনাররা আরও বেশি সাহায্য পেতে পারেন। পঞ্জাব দলে চহাল আছেন। শেষ বারের সাক্ষাতে তাঁর চার উইকেটই চাপে ফেলে দিয়েছিল নাইটদের। কিন্তু স্পিনাররা বাড়তি সাহায্য না পেলে কেকেআরও যে জয়ে ফিরতে পারছে না। সি ভি বরুণ, সুনীল নারাইনরাই কেকেআরের মেরুদণ্ড। তাঁরা এ বার পিচকে কাজে লাগাতে পারেন কি না সেটাই দেখার।

আলোচনা: কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের সঙ্গে আন্দ্রে রাসেল।

আলোচনা: কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের সঙ্গে আন্দ্রে রাসেল। —নিজস্ব চিত্র।

পঞ্জাব শিবিরের নজরেও ইডেনের বাইশ গজ। শ্রেয়স নিজে গিয়ে সেখানে শ্য়াডো করেন। তাঁকে দেখে বোঝা যায়, আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। নেটে ঢোকার আগে পুল শটের অনুশীলন করতে দেখা যায় তাঁকে। শ্রেয়স জানেন, অন্য মাঠের চেয়ে ইডেনে বেশি বাউন্স থাকে। খাটো লেংথের বলে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, তাই এই অনুশীলন করেন তিনি।

শ্রেয়সের অধিনায়কত্বের প্রশংসা করলেন তাঁরই সতীর্থ নেহাল ওয়াধেরা। সাংবাদিকদের বলছিলেন, ‘‘শ্রেয়স সকলকে স্বাধীনতা দেয়। কী ভাবে ম্যাচ জেতাতে হয় ও জানে। কখনও নিজেকে নিয়ে ভাবে না। দলের জন্যই চিন্তা করে।’’

নেহাল মনে করেন, গত ম্যাচের চেয়ে পিচ মন্থর হবে। তাঁর কথায়, ‘‘ইডেনের পিচ নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু পিচ যে রকমই হোক, আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।’’

শনিবার নাইটদের ঘুরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি বড় পরীক্ষা চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতেরও। কোচ হিসেবে তাঁর পিঠও যে দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে।

আরও পড়ুন