শ্রেয়স আয়ার। —ফাইল চিত্র।
গত বার আইপিএলজয়ী অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারকে ধরে রাখেননি কলকাতা নাইট রাইডার্স কর্তৃপক্ষ। দেশের অন্যতম সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটারকে কেন হাতছাড়া করা হল, এই প্রশ্ন ঘুরছে কেকেআর সমর্থকদের মধ্যে। রিটেনশনের দু’দিন পর সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন কেকেআর সিইও বেঙ্কি মাইসোর।
শ্রেয়সকে বাদ দিয়ে আগামী তিন মরসুমের দল গঠনের কথা ভাবেননি কেকেআর কর্তৃপক্ষ। রিটেনশনের প্রথম যে তালিকা কেকেআর কর্তৃপক্ষ করেছিলেন, তার এক নম্বরেই ছিল শ্রেয়সের নাম। তবু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শ্রেয়সকে ছেড়ে দিতে এক রকম বাধ্য হয়েছে শাহরুখ খানের দল।
বেঙ্কি বলেছেন, ‘‘আমাদের রিটেনশন তালিকায় প্রথম নামটাই ছিল শ্রেয়সের। কিন্তু রিটেনশন শুধু দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয় না। দল সব সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। খেলোয়াড়দের ইচ্ছার উপরেও রিটেনশন নির্ভর করে। এক জন ক্রিকেটার দলের হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে চান কি না, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। শ্রেয়সের নাম এক নম্বরেই ছিল। ও আমাদের অধিনায়ক ছিল। সে জন্যই ২০২২ সালের নিলামে শ্রেয়সকে নেওয়া হয়েছিল।’’
বেঙ্কি বুঝিয়ে দিয়েছেন, দল আইপিএলজয়ী অধিনায়ককে রেখে দিতে চাইলেও শ্রেয়স থাকতে চাননি। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘কোনও কোনও বিষয় আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকে না। কোনও ক্রিকেটার যদি নিজের বাজারমূল্য যাচাই করতে চায় এবং নিলামে নাম নথিভুক্ত করতে চায়, তা হলে সেটাই তার জন্য সঠিক। কেকেআর সব সময় খেলোয়াড়দের পাশে থাকে। তাঁদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করে। আমার সঙ্গে শ্রেয়সের ব্যক্তিগত সম্পর্ক দুর্দান্ত। আবার এটাও ঠিক, ওর সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে।’’
শুধু শ্রেয়স নন। গত আইপিএলে অধিনায়ক থাকা লোকেশ রাহুল, ঋষভ পন্থকেও এ বার নিলামের জন্য ছেড়ে দিয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস, দিল্লি ক্যাপিটালস। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ছেড়ে দিয়েছে তাদের অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসিকেও।