নীতীশ রানা। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির হয়ে আসন্ন মরসুমে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে চান না দুই প্রাক্তন অধিনায়ক। দিল্লির ক্রিকেট সংস্থার কাছে অন্য রাজ্যের হয়ে খেলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন নীতীশ রানা এবং ধ্রুব শোরে। তাঁদের আবেদনের উত্তর এখনও দেননি দিল্লির ক্রিকেট কর্তারা।
সূত্রের খবর, দুই ক্রিকেটারই গত বছর ঘরোয়া মরসুম শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন রাজ্যের ক্রিকেট দলের ব্যাপারে খোঁজ নিতে শুরু করেন। অন্য কোনও রাজ্যের হয়ে খেলার সুযোগ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখেন। ইতিবাচক সাড়া পাওয়ায় দিল্লি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
গত জানুয়ারিতে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নীতীশ দু’ইনিংসে করেছিলেন যথাক্রমে ১১ এবং ৬ রান। কিন্তু পরের হায়দরাবাদ ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের গত মরসুমের অধিনায়ক। মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দু’ইনিংসে নীতীশ করেছিলেন ১৪ এবং ৪০ রান। অসমের বিরুদ্ধে কোনও রান করতে পারেননি। এর পর তামিলনাড়ু, সৌরাষ্ট্র এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে দিল্লির প্রথম একাদশে সুযোগ হয়নি তাঁর। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলার পর নিজেকে দল থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন নীতীশ।
অন্য দিকে, ধ্রুব খেলতে চাইলেও সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁকে নিয়ে ভাবছেন না দিল্লির নির্বাচকেরা। নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েও দলে সুযোগ পাননি তিনি। দিল্লির ক্রিকেট কর্তা এবং নির্বাচকদের এই মনোভাবে খুশি নন ধ্রুব। তা ছাড়া গত দলীপ ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিরুদ্ধে ১৩৫ রান করার পরেও সেমিফাইনালে দক্ষিণাঞ্চলের বিরুদ্ধে উত্তরাঞ্চলের প্রথম একাদশে জায়গা পাননি ৩১ বছরের ব্যাটার। লাল বলের ক্রিকেটে দিল্লি দলে নিয়মিত সুযোগ পেলেও সাদা বলের ক্রিকেট সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। বিজয় হজারে ট্রফিতে তিনি পাঁচটি ইনিংসে করেছিলেন যথাক্রমে ৪১, ৯, ৪৩, ১ এবং ১০ রান। তার পর আর তাঁকে সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য বিবেচনা করা হয়নি।
নীতীশ এবং ধ্রুব দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার কাছে রাজ্য ছাড়ার আবেদন করার পরের দিন বুচি বাবু প্রতিযোগিতার জন্য দল ঘোষণা করেছে। নীতীশ এবং ধ্রুবর এক জনকে অধিনায়ক করা হবে বলে দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা সূত্রে খবর। মনে করা হচ্ছে, দুই সিনিয়র ক্রিকেটারকে ধরে রাখতেই নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু তাতে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তনের কোনও ইঙ্গিত দেননি কেকেআর অধিনায়ক এবং তাঁর সতীর্থ। অনুমতি পেলে কোন রাজ্যের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবেন, তা জানাননি কেউই।