বিরাট কোহলী। ফাইল ছবি
আইপিএল থেকে অনেক ক্রিকেটারই বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছেন। নিজেকে জাতীয় দলে প্রতিষ্ঠিতও করেছেন। অনেক ক্রিকেটারকে কাছ থেকে দেখেছেন বিরাট কোহলীও। কিন্তু তাঁর মতে, আইপিএল-এর সেরা চরিত্রের কথা বললে তিনি দু’জন ক্রিকেটারের নাম করবেন। তাঁদের একজন কেএল রাহুল, আর একজন যুজবেন্দ্র চহাল।
আরসিবি-র এক পডকাস্টে আলাদা করে শুধু রাহুলকে নিয়ে কথা বলেছেন কোহলী। তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কোহলী বলেছেন, “দু’জন ক্রিকেটারের কথা আমার মাথায় আসছে। তারা হল কেএল রাহুল এবং যুজবেন্দ্র চহাল। ২০১৩-তে রাহুল আরসিবি-তে ছিল। করুণ নায়ার এবং ময়ঙ্ক অগ্রবালও ছিল ওর সঙ্গে। রাহুলকে কখনো মনে হয়নি ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিশেষজ্ঞ। ২০১৫-তে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলে ছিল। আমাদের ম্যানেজার অভিমন্যু এক বার আমাকে জানায় যে, ও রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আমরা ওকে চাই কিনা সেটা জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি রাহুলকে আইপিএল-এ আগে অল্প স্বল্প খেলতে দেখেছিলাম। কিন্তু আরসিবি ছাড়ার পর ওকে সে ভাবে দেখিনি। তবে শুনেছিলাম ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খুব ভাল খেলছে। আরসিবি-তে থাকার সময় ও অনেক তরুণ ছিল। ভারতের হয়ে এবং আরসিবি-র হয়েও ভাল খেলছিল।”
Heading into the 15th year of #IPL, I look back fondly on all the memories, relationships, and learnings, on the RCB Podcast. Watch the full video on @RCBTweets pic.twitter.com/9YJWJsn8Lp
— Virat Kohli (@imVkohli) February 26, 2022
কোহলী জানান, ২০১৪ সালে রাহুল প্রথম তাঁর নজর কেড়ে নেন। বলেছেন, “আমরা আগে একে অপরের সঙ্গে খুব বেশি সময় কাটাইনি। কিন্তু ২০১৪-এ ওকে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট অভিষেক করতে দেখেছিলাম। তখনই চমকে গিয়েছিলাম। নিজের খেলা নিয়ে অনেক পরিশ্রম করেছিল। দুর্দান্ত ক্রিকেটার হয়ে উঠেছিল। ওর শারীরিক ভঙ্গি এবং আত্মবিশ্বাস আমার নজর কেড়ে নিয়েছিল। কিন্তু তখন সানরাইজার্সে খেলায় খুব বেশি সুযোগ পাচ্ছিল না। আমার মনে হয়েছিল ও যথেষ্ট চাপে রয়েছে। কিন্তু যখন সুযোগ পেল তখন আমার মনে হয়েছিল ওর মধ্যে অবিশ্বাস্য প্রতিভা রয়েছে। তাই ভেবেছিলাম আরসিবি-তে খেললে ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা কাজে লাগিয়ে ও অনেক ভাল খেলতে পারবে।” উল্লেখ্য, সেই বছর ১৪টি ম্যাচে ৩৯৭ রান করেন রাহুল। দলের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন।
পাশাপাশি, আরসিবি-র সঙ্গে নিজের হৃদ্যতার কথাও তুলে ধরেছেন কোহলী। বলেছেন, “ভারতের অন্য যে কোনও শহরের তুলনায় এই শহরের একটা আলাদা অনুভূতি রয়েছে। আপনি যখন এখানে এসে বিমানবন্দরে নামবেন এবং হোটেলের দিকে যাবেন, তখন বুঝতে পারবেন আপনি নিজের বাড়িতেই ফিরেছেন। এখানে আমি জন্মাইনি, বেড়েও উঠিনি। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে এখানে আসি। কিন্তু যে অদ্ভুত অনুভূতি হয় সেটা বলে বোঝানো যাবে না। এখানে অসাধারণ কিছু বন্ধু পেয়ে গিয়েছি। খুব ভালো স্বভাবের ওরা। সব সময় আমার পাশে থেকেছে।”