কেরলের ওয়েনাড়ে বাঘের আতঙ্ক। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
কেরলের ওয়েনাড়ে বাঘের হামলায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তিনি ভারতের মহিলা দলের ক্রিকেটার মিন্নু মণির কাকিমা। দুঃসংবাদ নিজেই জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার। সকলকে সতর্ক থাকার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
মিন্নু জানিয়েছেন, কাকিমার এ ভাবে মৃত্যুতে পরিবারের সকলে হতবাক। তিনি বলেন, “এই খবরে আমরা সকলে স্তম্ভিত। বাঘের হানায় যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে তিনি আমার কাকিমা। আমি আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি বাঘটাকে ধরা হবে। মানুষের জীবন বিপন্ন। সকলকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।”
ভারতের মহিলা দলের তরুণ সদস্যদের মধ্যে এক জন মিন্নু। জাতীয় দলের হয়ে এক দিন ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। মহিলাদের আইপিএলেও খেলেন এই তরুণ ক্রিকেটার। ব্যাট করার পাশাপাশি স্পিন বলও করেন তিনি।
ওয়েনাড়ের মনন্তবাড়ি এলাকায় মিন্নুর কাকিমা রাধার মৃত্যু হয়েছে বাঘের হামলায়। তার পর থেকেই ওই এলাকা এবং পাশ্ববর্তী গ্রামগুলিতে আতঙ্ক ছড়ায়। বাঘ ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বন দফতর। কিন্তু বাঘকে এখনও বাগে আনতে পারেনি তারা। শেষমেশ বাঘের খোঁজে প্রশিক্ষিত হাতি আনতে হয়েছে বন দফতরকে।
শনিবার মনন্তবাড়ি এলাকায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। রাধার শেষকৃত্য হয় শনিবার। তার পরই স্থানীয়েরা বন দফতরের অফিস ঘেরাও করেন। তাঁরা দাবি তোলেন, যে ভাবেই হোক বাঘকে ধরতে হবে, তা সে জীবিত হোক বা মৃত। বন দফতরের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। বাঘটিকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন বন দফতর সেটিকে খাঁচা পেতে, টোপ দিয়ে এবং ঘুমপাড়ানি গুলি ব্যবহার করে ধরার চেষ্টা করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়েরা।
বনাধিকারিক প্রমোদ জি কৃষ্ণণ জানিয়েছেন, জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ সংস্থার নির্দেশিকা মেনেই কাজ করা হচ্ছে। তাই প্রথমে ঘুমপাড়ানি গুলি ব্যবহার করেই বাঘটিকে বাগে আনার চেষ্টা হচ্ছে। সব কিছু ব্যর্থ হলে তবেই ‘দেখামাত্র গুলি’ করার পথ নেওয়া হবে। রাধার মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেছেন ওয়েনাড়ের সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়া। রাধার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছে কেরল সরকার।