হনুমা বিহারী। —ফাইল চিত্র।
রঞ্জি ট্রফির মাঝেই হনুমা বিহারীর সঙ্গে গন্ডগোল হয় অন্ধ্র ক্রিকেট সংস্থার। ভারতীয় দলে খেলা ক্রিকেটারকে প্রথম ম্যাচের পরেই নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রঞ্জি শেষ হতেই রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন হনুমা। সেই ঘটনায় হনুমাকে শো-কজ় করে রাজ্য সংস্থা। এ বার তিনি ছাড়পত্র চাইলেন রাজ্যের কাছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে অন্ধ্র ক্রিকেট সংস্থা জানিয়েছিল যে, হনুমাকে মেল করে শো-কজ় করা হয়েছে। কিন্তু হনুমা উত্তর দেননি। অন্ধ্রের এক কর্তা বলেন, “আমরা হনুমাকে শো-কজ় করেছি। ওর উত্তর এখনও পাইনি। গত মাসে ও যে ব্যবহার করেছিল, সেটার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। ও আমাদের সঙ্গে কোনও কথা বলেনি। সেই সুযোগটা দেওয়া হয়েছে হনুমাকে। আমাদের রাজ্যের ক্রিকেটের উন্নতির নেপথ্যে ওর বড় ভূমিকা রয়েছে। সেটাকে আগ্রাহ্য করা যাবে না।” এক সংবাদমাধ্যমকে হনুমা বলেন, “আমি অন্য দলের হয়ে খেলতে চাই। অন্ধ্র ক্রিকেট সংস্থার কাছে ছাড়পত্র চেয়েছি। ওদের উত্তরের অপেক্ষায় আছি।” রাজ্য সংস্থার চিঠির জবাবে হনুমা জানতে চেয়েছেন, তাঁর সঙ্গে এমন ব্যবহার কেন করা হয়েছে।
রঞ্জি ট্রফিতে অন্ধ্রের শেষ ম্যাচের পর বিদ্রোহ করেছিলেন হনুমা। ক্রিকেট দলে রাজনৈতিক দলের প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি লিখেছিলেন, “বাংলার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক ছিলাম। সেই ম্যাচে দলের ১৭ নম্বর খেলোয়াড়ের উপর চিৎকার করেছিলাম। ও গিয়ে নিজের বাবাকে (যিনি একজন রাজনীতিবিদ) অভিযোগ করে। ওর বাবা রাজ্য সংস্থাকে নির্দেশ দেন আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। গত বারের ফাইনালিস্ট বাংলার বিরুদ্ধে আমরা ৪১০ তাড়া করে জিতলেও কোনও কারণ ছাড়াই আমাকে নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।”
হনুমা আরও লিখেছিলেন, “আমি ব্যক্তিগত ভাবে সেই ক্রিকেটারকে কিছুই বলিনি। কিন্তু রাজ্য সংস্থা ভেবেছে, গত বার যে দলকে বাঁচিয়েছে এবং দলের প্রয়োজনে বাঁ হাতে ব্যাট করেছে, যে অন্ধ্রকে গত সাত বারের মধ্যে পাঁচ বার নকআউটে তুলেছে এবং ভারতের হয়ে ১৬টা টেস্ট খেলেছে, তার থেকে অন্য আর এক জন ক্রিকেটার বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”