বিশ্বকাপের পর অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত যে কঠিন ছিল, সেটা মেনে নিয়েছেন জাডেজা। ফাইল ছবি
হাঁটুর চোটের জেরে এক সময় ক্রিকেটজীবনই শেষ হয়ে যেতে বসেছিল। অস্ত্রোপচার করে সুস্থ হয়ে আবার ভারতীয় দলে ফিরেছেন রবীন্দ্র জাডেজা। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। তবে সেই দুঃখ ভুলে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ে নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া ভারতের এই অলরাউন্ডার। রবিবার বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোঝা গিয়েছে, ফিরতে কতটা ছটফট করছেন তিনি।
জাডেজা বলেছেন, “প্রায় পাঁচ মাস পরে আবার ভারতীয় দলের জার্সি পরতে পেরে খুবই খুশি। আমি প্রচণ্ড উত্তেজিত এবং খুশি। আবার জাতীয় দলে ফিরতে পেরে আপ্লুত। অনেক উত্থান-পতন জড়িয়ে রয়েছে এই প্রত্যাবর্তনে। পাঁচ মাস ক্রিকেট খেলতে না পারা খুবই হতাশার ব্যাপার। দ্রুত সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করছিলাম যাতে ভারতের হয়ে খেলায় ফিরতে পারি।”
বিশ্বকাপের পর অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত যে কঠিন ছিল, সেটা মেনে নিয়েছেন জাডেজা। পাশাপাশি এটাও জানিয়েছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ শোনা দরকার ছিল। জাডেজার কথায়, “হাঁটু নিয়ে একটা সমস্যা ছিলই। তাই আজ না হোক কাল, অস্ত্রোপচার করতেই হত। বিশ্বকাপের আগে না পরে করব, সেটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হত। চিকিৎসকই পরামর্শ দেন বিশ্বকাপের পর করার। কারণ বিশ্বকাপে আমার খেলার সম্ভাবনা প্রায় ছিলই না। তাই নিজের মনকে তৈরি করি এবং অস্ত্রোপচারের জন্যে রাজি হয়ে যাই।”
Excitement of comeback 👌
— BCCI (@BCCI) February 5, 2023
Story behind recovery 👍
Happiness to wear #TeamIndia jersey once again 😊
All-rounder @imjadeja shares it all as India gear up for the 1⃣st #INDvAUS Test 👏 👏 - By @RajalArora
FULL INTERVIEW 🎥 🔽https://t.co/wLDodmTGQK pic.twitter.com/F2XtdSMpTv
তবে জাডেজার মতে, অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে ওঠার দিনগুলি ছিল বেশ কঠিন। বলেছেন, “অস্ত্রোপচারের পর একটানা রিহ্যাব এবং অনুশীলন চালাতে হয়। সেটা বেশ কঠিন কাজ। টিভিতে ম্যাচ দেখার সময় বার বার নিজের চোটের কথা মনে পড়ত। ভাবতাম, আমিও বিশ্বকাপে খেলতে পারতাম। তবে এগুলোই দ্রুত সেরে ওঠার ক্ষেত্রে আমার অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজে লেগেছে।”
জাডেজা ধন্যবাদ জানিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি এবং সেখানকার চিকিৎসকদের। রবিবার ছুটির দিন হওয়ার সত্ত্বেও জাডেজার শুশ্রূষার কারণে এনসিএ-তে হাজির হতেন তাঁরা। জাডেজা বলেছেন, “চোটের পর দু’মাস আমি কোথাওো বেরোতে পারিনি। ঠিক ঠাক হাঁটতে পারতাম না। খুব কঠিন সময় ছিল সেটা। পরিবার এবং বন্ধুরা সেই সময় পাশে দাঁড়িয়েছে। এনসিএ-র প্রশিক্ষকরাও খুব সাহায্য করেছেন।”
গত মাসে সৌরাষ্ট্রের হয়ে রঞ্জির ম্যাচে খেলেন জাডেজা। প্রথম দিকে ফিরতে সমস্যা হয়েছিল। ধীরে ধীরে মানিয়ে নেন। ম্যাচে আট উইকেটও নেন।