India vs England

যশস্বীর চোখে প্রথম ২০০, লক্ষ্য ভারতের ইনিংসের শেষ পর্যন্ত পিচে থাকা

১৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পর যশস্বী জানিয়েছেন, বিশাখাপত্তনমের ২২ গজে ব্যাট করা সহজ নয়। দিনের বিভিন্ন সময় পিচের আচরণ পরিবর্তন হচ্ছে। তবু যতক্ষণ সম্ভব ব্যাট করতে চান তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫৯
Picture of Yashsvi Jaiswal

যশস্বী জয়সওয়াল। ছবি: এক্স (টুইটার)।

৯৩ ওভার মাথা ঠান্ডা রেখে ব্যাট করলেন ২২ বছরের এক তরুণ। উইকেটের অন্য প্রান্তে একে একে আউট হয়ে গেলেন দলের সিনিয়র ব্যাটারেরা। তবু অবিচল থাকলেন যশস্বী জয়সওয়াল। বিশাখাপত্তনমে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের শেষে যশস্বী অপরাজিত ১৭৯ রান করে। টেস্ট ক্রিকেটে এটাই তাঁর সর্বোচ্চ রান।

Advertisement

এ দিন যশস্বীর ২৫৭ বলের ইনিংস নিখুঁত ছিল বলা যাবে না। অন্তত এক বার জীবন পেয়েছেন তিনি। তবু নজর কেড়েছেন তরুণ ওপেনার। তাঁর দায়িত্বশীল ইনিংসের প্রশংসা করেছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরাও। নিজের ইনিংস নিয়ে যশস্বী বলেছেন, ‘‘বল বুঝে খেলার চেষ্টা করেছি। অকারণ ঝুঁকি নিতে চাইনি। প্রতিটি সেশন অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। ইংল্যান্ড যখন ভাল বল করছিল, তখন সাবধানে খেলার চেষ্টা করেছি।’’ উইকেট কেমন ছিল? যশস্বী বলেছেন, ‘‘সকালে পিচে একটু ভিজে ভাব ছিল। সঙ্গে স্পিন এবং বাউন্স ছিল। সুইংও হচ্ছিল। পরিস্থিতি সহজ ছিল না। তাই খারাপ বলের জন্য অপেক্ষা করেছি প্রথম দিকে। শেষ পর্যন্ত খেলা লক্ষ্য ছিল আমার।’’

শুক্রবার খেলা শেষে যশস্বী জানিয়েছেন, শনিবার তাঁর লক্ষ্য থাকবে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম দ্বিশতরান পূর্ণ করার। তিনি বলেছেন, ‘‘দু’শো রান করতে পারলে অবশ্যই খুশি হব। সঙ্গে দলের ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে চাই। আপাতত শনিবারের জন্য নিজেকে তরতাজা করে তুলতে হবে।’’ যশস্বী জানিয়েছেন, বিশাখাপত্তনমের পিচ দিনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আচরণ করছে। তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ। তরুণ ব্যাটার বলেছেন, ‘‘সকালের দিকে ভিজে ভাব থাকলেও পরে ঠিক হয়ে যায়। পুরনো বলেও ইংল্যান্ডের বোলারেরা বাউন্স পেয়েছে। কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা আমাকে সাহস দিয়েছিলেন। শতরানের দু’জনেই বলেছেন, বড় ইনিংস খেলার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ২২ গজে থাকার চেষ্টা করতে বলেছেন।’’

উইকেটের অন্য প্রান্তে একের পর এক সতীর্থ আউট হলেও মনঃসংযোগ হারাননি যশস্বী। ভাল বল পেলে যেমন ডিফেন্স করেছেন, তেমন আলগা বলের ক্ষেত্রে আগ্রাসীও হয়েছেন। যার প্রমাণ ১৭টি চারের পাশাপাশি, ৫টি ছক্কা। লাল বলের ক্রিকেটে কিভাবে ব্যাট করতে হয়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন সতীর্থদের।

আরও পড়ুন
Advertisement