রাসেল, নারাইনরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে আগ্রহী নন। ফাইল ছবি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সোনালি দিন অতীত। সেরা ক্রিকেটারদের একাংশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে চান না। তাঁরা বেশি আগ্রহী বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, বিগ ব্যাশ লিগ, দ্য হান্ড্রেডের মতো প্রতিযোগিতা নিয়েই ব্যাস্ত আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইনরা। কলকাতা নাইট রাইডার্স বা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলতে তাঁরা যতটা উৎসাহী, দেশের জন্য খেলতে ততটা নন। তাতেই সর্বনাশ হচ্ছে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের।
এক সময় ক্রিকেটবিশ্বের সেরা দল ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক দিনের ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দু’বার করে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তবু ওয়েস্ট ইন্ডিজের পারফরম্যান্স ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে। গোটা পরিস্থিতিতে হতাশ কোচ ফিল সিমন্স। বিরক্ত সিমন্স জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলার জন্য কাউকে অনুরোধ করতে পারবেন না। বিরক্ত প্রধান নির্বাচক ডেসমন্ড হেইনসও।
ঘরের মাঠে একের পর এক সিরিজ হারছে ক্যারিবিয়ানরা। বাংলাদেশের পর ভারতের বিরুদ্ধেও কায়রন পোলার্ডরা নিজেদের ক্রিকেটের প্রতি সুনাম করতে পারেননি। বিরক্ত সিমন্স বলেছেন, ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলার জন্য কাউকে বলতে পারব না। আমি ভিক্ষা করতে পারব না।’’
প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান ওপেনার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে ক্রিকেট বোর্ড দল নির্বাচন করতেও সমস্যায় পড়ে। সিমন্স বলেছেন, ‘‘হতাশার হলেও এটাই সত্যি। কিন্তু কী করা যাবে। কাউকে দেশের হয়ে খেলার জন্য অনুরোধ করতে পারব না। এটা ওদেরও দেশ। কেউ যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে চায়, তা হলে তো তাকে ফাঁকা থাকতে হবে। আসলে জীবন বদলে গিয়েছে। এখনকার ছেলেদের অনেক জায়গায় যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ওরা সেগুলোকেই বেছে নিচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।’’
রাসেল, নারাইন ছাড়াও এভিন লুইস, ওশানে থমাস, শেল্ডন কটরেল, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, রোস্টন চেজদের মতো ক্রিকেটারদের কেন জাতীয় দলে দেখা যাচ্ছে না। সিমন্স জানিয়েছেন, কেউ বিদেশে খেলতে ব্যস্ত। কারও ফিটনেস সমস্যা রয়েছে।
কোচের বক্তব্য সমর্থন করেছেন প্রধান নির্বাচক হেইনসও। তিনি বলেছেন, ‘‘রাসেল ভাল ছন্দে রয়েছে জানি। কিন্তু ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে আগ্রহী নয়। যদি সকলেই দেশের হয়ে খেলত, তা হলে খুশিই হতাম। কিন্তু ওদের সামনে এখন প্রচুর বিকল্প। ওরা যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের আগে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে বেছে নেয়, তা হলে কী করার আছে। যাদের পাওয়া যায়, তাদের নিয়েই দল তৈরি করতে হয়।’’