মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে রোহিত শর্মার দল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছ থেকে পেয়েছে ১২৫ কোটি টাকা। ২০০৭ এবং ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে দু’বার বিশ্বকাপ জয়ের সময়ও দলকে আর্থিক পুরস্কার দিয়েছিল বিসিসিআই। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পরও আর্থিক পুরস্কার দিয়েছিল বোর্ড। এ বারের মতো এত টাকা অবশ্য পায়নি ধোনির কোনও দলই।
২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ধোনিরা। সেই দলে ছিলেন এ বারের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। সে বার বিসিসিআই বিশ্বজয়ের পুরস্কার হিসাবে দিয়েছিল ১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ১ কোটি টাকা করেও পাননি ধোনিরা। ২০১১ সালে ধোনির নেতৃত্বে এক দিনের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সে বার দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারের জন্য ১ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল বিসিসিআই। পরে বাড়িয়ে ২ কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছিল বিশ্বজয়ীদের। দলের কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফেরা পেয়েছিলেন ৫০ লাখ টাকা করে। তৎকালীন জাতীয় নির্বাচকেরা পুরস্কার হিসাবে পেয়েছিলেন ২৫ লাখ টাকা করে। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর ক্রিকেটারদের ১ কোটি টাকা করে পুরস্কার দিয়েছিল বিসিসিআই। সে বার সাপোর্ট স্টাফেরা পেয়েছিলেন ৩০ লাখ টাকা করে।
আগের তিন বারের তুলনায় এ বার পুরস্কার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। এ বার দলের ১৫ জন ক্রিকেটার পাচ্ছেন ৫ কোটি টাকা করে। একটিও ম্যাচ না খেলা সঞ্জু স্যামসন, যশস্বী জয়সওয়াল এবং যুজবেন্দ্র চহালও এই টাকা পাবেন। কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও পাবেন ৫ কোটি টাকা। তিন জন সহকারী কোচ অর্থাৎ, ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর, ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ ও বোলিং কোচ পরশ মামব্রে ২.৫ কোটি টাকা করে পাবেন। দলের অন্য সাপোর্ট স্টাফ, অর্থাৎ তিন জন ফিজিয়ো, তিন জন থ্রোডাউন বিশেষজ্ঞ, দু’জন ম্যাসিয়োর এবং স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ ২ কোটি টাকা করে পাবেন। দলের সঙ্গে রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসাবে যাওয়া শুভমন গিল, রিঙ্কু সিংহ, আবেশ খান এবং খলিল আহমেদেরা পাবেন ১ কোটি টাকা করে। অজিত আগরকর-সহ পাঁচ জন জাতীয় নির্বাচকও ১ কোটি টাকা পাবেন। বাকি টাকা ভাগ হবে দলের ভিডিয়ো বিশ্লেষক এবং দলের সঙ্গে যাওয়া বোর্ডের অন্য কর্মীদের মধ্যে।
গত তিন বারের তুলনায় বোর্ড এ বার আর্থিক পুরস্কারের পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়েছে। এ বার বিরাট কোহলি ৫ কোটি টাকা করে পাচ্ছেন। তিনিই ২০১১ সালে এক দিনের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হিসাবে পেয়েছিলেন ২ কোটি টাকা।