IPL 2025

২০ ওভারের ক্রিকেটে ৩০০ রান অসম্ভব নয়, আইপিএলের একটি নিয়ম ভরসা দিচ্ছে শুভমনকে

ব্যাট করার সময় নেতৃত্ব নিয়ে ভাবতে নারাজ শুভমন গিল। শুধু ব্যাটার হিসাবে ২২ গজে থাকতে চান। গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়ক।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫ ১৮:৩৩
picture of Shubman Gill

শুভমন গিল। —ফাইল চিত্র।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যে ভাবে এগোচ্ছে, তাতে যে কোনও দিন ৩০০ রান উঠতে পারে। এ বারের আইপিএলেই কোনও দল ৩০০ তুললে অবাক হবেন না শুভমন গিল। গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়কের মতে, আইপিএলের ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম বড় রান তোলার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। আইপিএল শুরুর আগে গুজরাতের অধিনায়ক হিসাবে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন শুভমন।

Advertisement

এক সাক্ষাৎকারে শুভমন বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এমন জায়গায় পৌঁছেছে, মনে হচ্ছে ৩০০ রানও হতে পারে। গত বছরই কয়েকটা ম্যাচে ৩০০ রানের কাছাকাছি উঠেছিল। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম খেলাটাকে আরও উত্তেজক করে তুলেছে। আইপিএলের বিনোদনও বৃদ্ধি পেয়েছে।’’ শুভমন মনে করেন, ক্রিকেটের মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে আইপিএলের। গুজরাত অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আইপিএলের সবচেয়ে গুরুতূপূর্ণ দিক হচ্ছে, প্রতি দিন নতুন তারকার আবির্ভাব হয়। ক্রিকেট প্রতিভা হিসাবে যারা খুব আলোচিত নয়, তারাও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে। ঘন ঘন ম্যাচ এবং সফর ক্রিকেটারদের খেলা নিয়ে ব্যস্ত রাখে। একটা জয় প্রয়োজনীয় ছন্দ তৈরি করে দেয়। সেই ছন্দে আরও দুই, তিন, চারটি ম্যাচেও জয় চলে আসে। তবে চোট-আঘাত একটু সমস্যা তৈরি করে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারের চোট লাগলে উপযুক্ত বিকল্প পাওয়া যায় না অনেক সময়। এটা একটা চ্যালেঞ্জ। এই প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হিসাবে আইপিএল আকর্ষণ ধরে রেখেছে। কারণ প্রতিটি মরসুম ক্রিকেটার এবং সমর্থকদের নতুন কিছু উপহার দেয়।’’

গত বছর আইপিএলের আগে হার্দিক পাণ্ড্য মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে চলে যাওয়ায় গুজরাতের অধিনায়ক হন শুভমন। নেতৃত্বের দায়িত্ব বাড়তি চাপ বলে মনে করেন না তিনি। শুভমন বলেছেন, ‘‘নেতৃত্ব একটা ধারাবাহিক যাত্রা। প্রতি ম্যাচে বা সপ্তাহে নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে হয়। দলের একেক জন খেলোয়াড়ের দৃষ্টিভঙ্গি একেক রকম হয়। তা থেকে অনেক কিছু শেখার থাকে। অধিনায়ক হিসাবে লক্ষ্য থাকে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সেরাটা বের করে আনা। দলের সকলকে বোঝা জরুরি। প্রত্যেককে সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে হয়। সকলের শক্তি এবং দুর্বলতা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সেইমতো তাদের ব্যবহার করা দরকার। যত বেশি খেলবেন, তত বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন। সাফল্য এবং ব্যর্থতা থেকে শেখার অনেক কিছু থাকে। সেটাই একজনকে নেতা হিসাবে গড়ে তোলে।’’ নেতৃত্ব নিয়ে শুভমন আরও বলেছেন, ‘‘অধিনায়ক হিসাবে দলের সকলের সঙ্গে আলাদা কথা বলা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম দিকে এ সবের সঙ্গে অভ্যস্ত ছিলাম না। কখনও প্রয়োজন হয়নি। অধিনায়ক হওয়ার পর করতে হয়েছে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলা, তাদের মানসিকতা বোঝা জরুরি। সকলে যাতে নিজেকে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মনে করে, সেটাও নিশ্চিত করতে হয়। অধিনায়ক নিজে এগিয়ে গিয়ে কথা বললে ক্রিকেটারদের মধ্যে বাড়তি আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। তাতে শক্তিশালী দল তৈরি করতে সুবিধা হয়।’’

ব্যাট করার সময় নেতৃত্বের ভাবনা সরিয়ে রাখেন। এ নিয়ে শুভমন বলেছেন, ‘‘ব্যাট করতে নামলে শুধু সেটা নিয়েই ভাবি। তখন অধিনায়কত্ব নিয়ে ভাবলে ব্যাটিংয়ে তার প্রভাব পড়ে। তাতে সেরাটা দেওয়া যায় না ক্রিকেটার হিসাবে। ব্যাটিং হল বোলারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত লড়াই। আবার ফিল্ডিং একটা দলগত বিষয়। ফিল্ডিং বা কৌশল তৈরির সময় অধিনায়ক হিসাবে ভাবতে হয়। ব্যাট করার সময় ভাবার দরকার হয় না। কারণ সে সময় অধিনায়ক হলেও রান করতে হবে আবার অধিনায়ক না হলেও রান করতে হবে। দলকে জেতানোই তখন একমাত্র কাজ।’’ শুভমন মেনে নিয়েছেন, নেতৃত্ব গত বছর তাঁর পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করেছিল। গুজরাত অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আগের বছর সব কিছু নিয়ে একটু বেশিই ভেবেছিলাম। ফলে ব্যাটার হিসাবে প্রত্যাশামতো খেলতে পারিনি। এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছি। ব্যাটিং এবং নেতৃত্বের মধ্যে একটা প্রাচীর তুলে নিয়েছি। নির্দিষ্ট মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামার চেষ্টা করি।’’

Advertisement
আরও পড়ুন