ভোটে তারা কোনও পক্ষে নয়। নিজেরা লড়াইও করে না। তবু তারাও প্রচারে। তাদের প্রচার জনগণকে গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল করার। গোয়ায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সে রাজ্যের নির্বাচন কমিশন এখন সেই প্রচারই করছে। প্রচারে তাদের প্রধান অস্ত্র ক্রিকেট। আর একটু স্পষ্ট করে বললে দৃষ্টিহীনদের ক্রিকেট।
গোয়ার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কুণাল অত্যন্ত আশাবাদী, তাঁদের প্রচারের প্রতিফলন ঘটবে ভোটবাক্সে। মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধে গোয়ার নির্বাচনে লড়া তৃণমূল কংগ্রেস কেমন ফল করবে? বিজেপি-ই কি ক্ষমতায় থাকবে? না কি কংগ্রেস ন’বছর পরে ফের ক্ষমতায় আসবে? এ সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্যই ভোটবাক্সে সুষ্ঠু এবং অবাধ প্রতিফলন দরকার। গোয়া নির্বাচন কমিশন এখন সেই কাজটিই করছে।
গোয়া থেকে কুণাল আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘নির্বাচন মানেই গণতন্ত্রের উৎসব। সেই উৎসব যাতে সফল হয়, তার জন্যই আমরা প্রচারে নেমেছি। এটা ভারতের নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ।’’
কেন খেলাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে কুণাল বলেন, ‘‘আমাদের খেলোয়াড়সুলভ স্পিরিট, দায়বদ্ধতা দরকার। সেই কারণেই খেলার মাধ্যমে প্রচার করব বলে ঠিক করেছি। গোয়ায় খেলাধুলোর একটা আলাদা সংস্কৃতি রয়েছে। তাই খেলাকে বাছা হয়েছে।’’ দৃষ্টিহীনদের ক্রিকেটকে কেন প্রচারের জন্য বাছা হয়েছে? পরিসংখ্যান মন্ত্রকের আধিকারিক হিসেবে ২০০৪ সালে এক বছরের জন্য কলকাতায় থাকা কুণাল বললেন, ‘‘বরাবরই ওঁদের মধ্যে যে উৎসাহ, উদ্দীপনা দেখি, তাতে এই কাজের জন্য ওঁদেরই যোগ্যতম বলে মনে হয়েছে।’’
২৫ ডিসেম্বর এই প্রচারম্যাচ আয়োজিত হয়। পরভোরিমের জিসিএ মাঠে উত্তর গোয়ার দৃষ্টিহীনদের দলের সঙ্গে খেলা হয় দক্ষিণ গোয়ার দৃষ্টিহীন দলের। দুই ওপেনার যশবন্ত গোসাভি ও প্রজ্যোৎ ঝা-এর ব্যাটিংয়ে উত্তর গোয়া বড় রান করে। জবাবে দক্ষিণ গোয়া ১২ ওভারে ৫ উইকেটে ১২৫ রানের বেশি করতে পারেনি।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সরকারি ফেসবুক ও ইউ টিউব চ্যানেলে ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।