Pakistan Cricket

‘এক জন তারকা, তাও যত্ন নিতে পারে না!’ বাবরের পাশে দাঁড়িয়ে পাক বোর্ডকে তোপ প্রাক্তন স্পিনারের

নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের দলে জায়গা হয়নি বাবর আজ়ম, মহম্মদ রিজ়ওয়ানের। পিসিবির এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সঈদ আজমল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫ ১৭:০৫
picture of Babar Azam

বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র।

পাকিস্তানের ক্রিকেটে এখন এক জনই তারকা। অথচ তাকেও ঠিক মতো আগলে রাখতে পারে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বাবর আজ়মকে টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ দেওয়া মেনে নিতে পারেননি প্রাক্তন ক্রিকেটার সঈদ আজমল। দেশের ক্রিকেট কর্তাদের বিরুদ্ধে সরব তিনি।

Advertisement

ধারাবাহিক ব্যর্থতায় বিরক্ত পিসিবি কর্তারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিপর্যয়ের পর কড়া পদক্ষেপ করেছেন। নিউ জ়িল্যান্ড বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের দল থেকে বাদ দিয়েছেন বাবরকে। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়কের মন্থর ব্যাটিং নিয়েও বিরক্ত তাঁরা। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার আজমলের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘আপনাদের কাছে তো এক জনই তারকা রয়েছে। তাকেও যদি হেয় করেন, তা হলে আপনারা ক্রিকেট চালাবেন কী ভাবে? এ গুলোই বড় সমস্যা। আমাদের প্রাক্তন ক্রিকেটারদেরও মুখ বন্ধ রাখা উচিত।’’ আজমল বোঝাতে চেয়েছেন, অতিরিক্ত সমালোচনা ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে। তাঁরা আরও চাপে পড়ে যান। প্রভাব পড়ে পারফরম্যান্সে। বাবরের পাশে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন স্পিনার বলেছেন, ‘‘এক জন ক্রিকেটার আর এক জনকে বুঝবে, এটাই প্রত্যাশিত। খারাপ সময় খেলোয়াড়জীবনের অংশ। কেউ সারা জীবন একই ভাবে ক্রিকেট খেলতে পারে না। সচিন তেন্ডুলকরও প্রতি ম্যাচে ১০০ করতে পারেননি।’’

পিসিবির সমালোচনা করে আজমল বলেছেন, ‘‘বাবর, মহম্মদ রিজ়ওয়ানদের ভুল ভাবে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। এমন নয় যে ওরাই শুধু দল হিসাবে ব্যর্থ হয়েছে আর বাকি সব দল সফল হয়েছে। নির্বাচকদের উচিত বাবরের সঙ্গে আলাদা করে বিশ্রামের ব্যাপারে কথা বলা। তাতে ও আরও শক্তিশালী ভাবে ফিরে আসতে পারবে। এটাই পদ্ধতি হওয়া উচিত। বাবর এবং রিজ়ওয়ান দু’জনেই দুর্দান্ত ক্রিকেটার। সেরা খেলোয়াড়দের মতোই ওদের পরিসংখ্যান। পার্থক্য হল, খুব আগ্রাসী মেজাজে দেখা যায় না ওদের। তবু অন্য দের মতোই রান করে দু’জন।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হঠাৎই একটু আগ্রাসী হয়ে গিয়েছে। আমাদের ছেলেরাও সেটা বুঝতে পারছে। তবে আমাদের ক্রিকেটারেরা যদি আগ্রাসী না হয়েও ম্যাচ জেতাতে পারে, তাতে ক্ষতি কী? ওরা ম্যাচ জেতাতে পারে, তা বহু বার প্রমাণিত। বিরাট কোহলির মতো ব্যাটারও আগ্রাসী হওয়ার আগে ধীরে ধীরে নিজের ইনিংস তৈরি করে। কোহলির খেলার ধরণ ওটাই।’’

আজমলের মতে বাবর, রিজ়ওয়ানদের মতো ক্রিকেটারদের আরও বেশি যত্ন প্রয়োজন। পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তাদের উচিত তাঁদের পাশে থাকা। আগলে রাখা। উল্লেখ্য, নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯১ রানে শেষ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের ইনিংস। ৯ উইকেট হারতে হয়েছে সলমন আঘার দলকে।

Advertisement
আরও পড়ুন