(বাঁদিক থেকে) গৌতম গম্ভীর এবং শ্রীসন্থ। —ফাইল চিত্র।
আবার গৌতম গম্ভীরকে আক্রমণ শ্রীসন্থের। ভারতের দুই বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার মাঠের লড়াই নিয়ে এসেছেন সমাজমাধ্যমে। এর আগে শ্রীসন্থ জানিয়েছিলেন যে, গম্ভীর তাঁকে ফিক্সার বলেছেন। এ বার গম্ভীরকে তিনি ‘অসভ্য’ বললেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করলেন শ্রীসন্থ। সরাসরি গম্ভীরের পোস্টে গিয়ে কমেন্ট করলেন তিনি।
লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটে ইন্ডিয়া ক্যাপিটালস বনাম গুজরাত জায়ান্টসের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলেন গম্ভীর এবং শ্রীসন্থ। সেখান থেকে শুরু হওয়া তর্কাতর্কি চলে এসেছে সমাজমাধ্যমে। গম্ভীরের “স্মাইল হোয়েন দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ় অল অ্যাবাউট অ্যাটেনশন” (যখন গোটা দুনিয়া দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায় তখন শুধু হাসো।) লেখা পোস্টের নীচে শ্রীসন্থ একটি লম্বা কমেন্ট করেছেন। সেখানে ভারতের প্রাক্তন পেসার গম্ভীরকে একের পর এক আক্রমণ করেছেন। শ্রীসন্থ লিখেছেন, “তুমি এখন আর শুধু ক্রীড়াবিদ বা কারও ভাই নও, তার থেকে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছ। সব থেকে বড় কথা, তুমি এখন জনপ্রতিনিধি (গম্ভীর পূর্ব দিল্লির সাংসদ)। তার পরেও সব ক্রিকেটারের সঙ্গে ঝগড়া করছ। কী হয়েছে তোমার? আমি হাসিমুখেই সব কিছু দেখছিলাম। কিন্তু তুমি আমাকে ফিক্সার বললে। তুমি কি সুপ্রিম কোর্টেরও উপরে?”
এর পরেই গম্ভীরকে ‘অসভ্য’ বলেন শ্রীসন্থ। তিনি লেখেন, “এই ভাবে কথা বলার কোনও অধিকার নেই তোমার। যা খুশি তাই বলে যেতে পারো না তুমি। আম্পায়ারকেও অশ্লীল কথা বলেছ। তার পরেও তুমি মুখে হাসি রাখার কথা বল? তুমি খুব অহঙ্কারী। তুমি এতটাই অসভ্য যে, কাউকে সম্মান দিতে জানো না। যে তোমার পাশে দাঁড়াল, তাঁকেও কোনও সম্মান দেখালে না।”
আইপিএলে ম্যাচ গড়াপেটার জন্য ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়েছিলেন শ্রীসন্থ। পরে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে নির্দোষ বলে। তখন আবার ক্রিকেটে ফিরে আসেন শ্রীসন্থ। তিনি বলেন, “গত কাল পর্যন্ত তুমি এবং তোমার পরিবারকে আমি শ্রদ্ধার চোখে দেখতাম। কিন্তু তুমি আমাকে এক বার নয়, অন্তত সাত-আট বার ফিক্সার বলেছ।”
শ্রীসন্থ গম্ভীরের বিরুদ্ধে এর পর লেখেন, “আম্পায়ার এবং আমাকে লেখার অযোগ্য ভাষায় গালি দিয়েছ। তুমি চেষ্টা করছিলে আমাকে উত্তেজিত করার। যারা সামনে থেকে দেখেছে, তারা তোমাকে কখনও ক্ষমা করতে পারবে না। তুমি নিজেও জানো কতটা খারাপ কাজ করেছ। আমি বিশ্বাস করি ঈশ্বর তোমাকে ক্ষমা করবেন না। তুমি তো ওই ঘটনার পর মাঠেও নামোনি। ঈশ্বর সব দেখছেন।”
ম্যাচে গুজরাতের শ্রীসন্থের একটি ওভারে পর পর চার এবং ছয় মারেন গম্ভীর। তখন শ্রীসন্থ তাঁর দিকে কড়া চোখে তাকিয়ে থাকেন। পরের বলটি যায় ফিল্ডারের কাছে। তখনই শ্রীসন্থ গম্ভীরকে কিছু একটা বলেন। তার পাল্টা দেন গম্ভীরও। বিষয়টি আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই দু’দলের ক্রিকেটার এবং আম্পায়ারেরা এসে দুই ক্রিকেটারকে আলাদা করে দেন। গম্ভীর সেই ম্যাচে ১০ রান করে রান আউট হয়ে যান।
ম্যাচের পরে ইনস্টাগ্রামে লাইভ করেন শ্রীসন্থ। সেখানে তিনি বলেন, “আমি আগে কিছু বলিনি। কোনও ইন্ধন দিইনি। কিন্তু আমাকে বার বার বলতে লাগল, ‘ফিক্সার, ফিক্সার, তুমি ম্যাচ ফিক্সার।’ আমার দিকে তাকিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ভাবে হাসছিল। ছাপার অযোগ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। এমনকি, আম্পায়ারেরা যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এসেছিলেন তখনও একই ভাষায় আমাকে আক্রমণ করেছে। আমি সরে গিয়েছিলাম। তার পরেও থামেনি। ও যদি সবার সঙ্গে লড়াই করতে চায় করুক। আমি কোনও উত্তর দিতে চাই না।”