চমক: গ্যালারিতে বাবার সঙ্গে ইশা গুহ। —নিজস্ব চিত্র।
বাবার সঙ্গে কলকাতা ঘুরতে এসেছেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার ইশা গুহ। সেই ফাঁকেই ইডেন ভ্রমণ করে গেলেন। শনিবার কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম পঞ্জাব কিংস ম্যাচেও থাকবেন। ইশা ইডেনে প্রবেশ করতেই নজর গেল ‘ঝুলন গোস্বামী স্ট্যান্ড’-এর দিকে। তাঁর বাবা মনে করিয়ে দিলেন, ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে তাঁর ক্যাচ কিন্তু ঝুলনই ধরেছিলেন।
বাবার খুনসুটিতে লজ্জায় পড়ে যাচ্ছিলেন ইশা। সাংবাদিকেরা চারপাশে ঘিরে ছিলেন। তিনি জানেন, বাবা কোনও বেফাঁস মন্তব্য করলে ‘ভাইরাল’ হয়ে যেতে পারে। ইশা তাই বাবাকে বলছিলেন, ‘‘তুমি আর কোনও কথা বলবে না। এ বার চুপ করো।’’ কিন্তু তাঁর বাবা আরও বলে চলেন, ‘‘তুমি ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে ভাল ব্যাট করছিলে। কিন্তু কী ভাবে আউট হলে মনে আছে?’’ ইশা আরও লজ্জায় পড়ে গিয়ে বলেন, ‘‘আমি মনে করতে চাই না বাবা। প্লিজ় চুপ করো।’’ বাবার কাছে বাংলা শিখছেন ইশা। অল্প অল্প বলারও চেষ্টা করেন। মেয়ের অস্বস্তি দেখে বাবাও হেসে ফেলেন।
ইশার বাবা বরুণ গুহ ১৯৬৫ সালে কলকাতা থেকে ইংল্যান্ড চলে যান। সেখানে পড়াশোনা করার পরে চাকরি করেন। ইংল্যান্ডেরই নাগরিকত্ব পান। তাঁর কন্যা ইশা ইংল্যান্ডের হয়ে মেয়েদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতেন। আইসিসি-র বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে দীর্ঘদিন এক নম্বরে ছিলেন। ধারাভাষ্যকার হিসেবে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় ইশা। আসন্ন ইংল্যান্ড-ভারত টেস্ট সিরিজ়েও ধারাভাষ্য দেবেন।
ইশা মনে করেন, ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ় জমে উঠতে পারে যদি রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি নিজেদের সেরা ছন্দে থাকেন। নাম না নিয়েই ইশা বলছিলেন, ‘‘ভারতের সিনিয়র ক্রিকেটারদের ফিটনেসের উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে।’’ যোগ করেন, ‘‘বুমরা, শামি ও মহম্মদ সিরাজ যদি একসঙ্গে খেলে, ভারতের বড় কিছু করার সম্ভাবনা আছে।’’ ইশা যদিও সিরিজ়ের ফল কী হতে পারে বলতে চাইলেন না। তাঁর কথায়, ‘‘জানি না সিরিজ় কারা জিতবে। তবে জমজমাট একটা সিরিজ় হতে চলেছে।’’
পহেলগামে জঙ্গিহানায় নিরপরাধ পর্যটকদের নিহত হওয়ার ঘটনায় মর্মাহত ইশাও। বলছিলেন, ‘‘সারা বিশ্বে এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। নিহতদের পরিবারের সকলকে সমবেদনা জানাই। বিশ্বের কোথাও যেন এ ধরনের কিছু আর না ঘটে।’’
কলকাতা থেকে ইশা ঘুরতে যাবেন সুন্দরবন। শহরে এসে ইলিশ খেয়েছেন। এ বার বাবার কাছে বিরিয়ানির আবদার তাঁর।