ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের দেখা যাবে না পিএসএলে। —ফাইল চিত্র।
আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে চাপে রয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তারা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চাপ আরও বাড়িয়ে দিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলা নিয়ে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ইসিবি।
বেন স্টোকস, ফিল সল্ট, জস বাটলারদের আর পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় দেখা যাবে না। কারণ ইসিবির নিষেধাজ্ঞা। পিএসএলের সময় হয় ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট। কয়েক বছর ধরে ইংল্যান্ডের বেশ কিছু ক্রিকেটার পাকিস্তানে চলে যাচ্ছেন টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট। বিশেষ করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। তার প্রভাব পড়ছে টেস্ট ক্রিকেটেও। পরিস্থিতি সামলাতে ক্রিকেটারদের পিএসএলে খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ইসিবি। ফলে কিছুটা হলেও জৌলুস হারাতে পারে পাকিস্তানের প্রতিযোগিতা।
ইসিবি-পিসিবি সম্পর্ক খারাপ নয়। ইংল্যান্ডের ক্রিকেট কর্তারা পাকিস্তানে দল পাঠাতেও আপত্তি করেন না। তবে এই নিষেধাজ্ঞা শুধু পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য নয়। বিদেশের কোনও টি-টোয়েন্টি লিগেই খেলতে পারবেন না বাটলার, সল্টেরা। ব্যতিক্রম শুধু ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা আইপিএল।
লাল বলের ক্রিকেটকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেট কর্তারা। তাই দেশের সেরা ক্রিকেটারদের টেস্টের জন্য তৈরি রাখতে চাইছেন তাঁরা। ইসিবি জানিয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলে বিদেশে টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে যেতে পারবেন না ক্রিকেটারেরা। ঘরোয়া ক্রিকেটের সময় কোনও ক্রিকেটারকে বিদেশে খেলতে যাওয়ার অনাপত্তিপত্র (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসিবি। গত বছরই কয়েক জন ক্রিকেটারকে বিদেশি লিগে খেলতে যেতে দেয়নি ইসিবি। তাঁদের অনাপত্তিপত্রের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এ বার সরাসরি অনাপত্তিপত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইসিবির চিফ এক্সিকিউটিভ রিচার্ড গোল্ড বলেছেন, ‘‘আমরা আমাদের ক্রিকেটের স্বার্থ রক্ষা করতে চাই। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের ক্রিকেটের স্বার্থই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সব কিছু খতিয়ে দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ এই সিদ্ধান্ত ক্রিকেটারদের আয়ে প্রভাব ফেলবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি লিগ এখন ক্রিকেটারদের আয়ের বড় উৎস। ইসিবির এই সিদ্ধান্তে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের রোজগার কমার সম্ভাবনা তৈরি হল। বিশেষ করে যাঁরা আইপিএলে থাকবেন না, তাঁদের রোজগার অনেকটাই কমে যেতে পারে।