(বাঁ দিকে) মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এবং বিজয় শঙ্কর (ডান দিকে)। ছবি: বিসিসিআই।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে সফল হননি চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটারেরা। প্রায় ১১ ওভার মাঠে থেকেও দলকে জেতাতে পারেননি মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। বিজয় শঙ্করের সঙ্গে জুটি বেঁধে দ্রুত রান তুলতে পারেননি ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। শুধু তাই নয়। মন্থর ব্যাটিং করে চেন্নাইয়ের দুই ক্রিকেটার এমন নজির গড়েছেন, যা তাঁরা সম্ভবত চাননি।
জয়ের জন্য ১৮৫ রান তাড়া করতে নেমে শনিবার ৭৪ রানে ৫ উইকেট হারায় চেন্নাই। ধোনি যখন ব্যাট করতে নামেন, তখন চেন্নাইয়ের ইনিংসের বয়স ১০.৪ ওভার। ২২ গজে সে সময় ২৩ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন শঙ্কর। দু’জনে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেও ম্যাচ বার করতে পারেননি।
শঙ্কর ইনিংসের ১৭তম ওভারে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। ৪৩ বল খেলে ৫০ রান করেন তিনি। যা এ বারের আইপিএলের মন্থরতম অর্ধশতরান। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের রবীন্দ্র জাডেজা ৪২ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেছিলেন। মন্থর অর্ধশতরানে তাঁকে ছাপিয়ে গিয়েছেন শঙ্কর। উল্লেখ্য, এ বারের আইপিএলে মন্থরতম পাঁচটি অর্ধশতরানের তিনটিই করেছেন চেন্নাইয়ের ব্যাটারেরা। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে রাজস্থান রয়্যালসের যশস্বী জয়সওয়ালের করা ৪০ বলে ৫০ রান। চতুর্থ স্থানে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ৩৯ বলে ৫০ রান। তালিকায় পঞ্চম স্থানে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে করা চেন্নাইয়ের রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ৩৭ বলে ৫০ রান। ফলে ২০ ওভারের ক্রিকেটের চাহিদা অনুযায়ী চেন্নাইয়ের ব্যাটারদের দ্রুত রান তোলার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
লজ্জার নজির গড়েছেন ধোনিও। তাঁর ২৬ বলে ৩০ রানের অপরাজিত ইনিংসে রয়েছে ১টি চার এবং ১টি ছয়। নিজের খেলা ১৯তম বলে প্রথম বাউন্ডারি মারেন তিনি। মুকেশ কুমারকে সেই বলে ছয় মারার আগে একটি চারও মারতে পারেননি ধোনি। এ বছরের আইপিএলে আর কোনও ক্রিকেটার ব্যাট করতে নেমে এতগুলি বল খরচ করেননি প্রথম চার বা ছয় মারতে।
শনিবারের ম্যাচে ধোনি-শঙ্কর জুটি ৯.২ ওভার ব্যাট করে তোলে ৮৪ রান। চাহিদামতো দ্রুত রান তুলতে পারেননি তাঁরা। ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের এমন মন্থর ব্যাটিং নজর এড়ায়নি ক্রিকেটপ্রেমীদেরও।