প্রস্তুতি: অনুশীলনের আগে ফুটবল নারাইন, রিঙ্কুর। ছবি পিটিআই।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটসম্যানদের সামনে বড় পরীক্ষা সোমবার। গুজরাত টাইটানসের বোলিং আক্রমণে একাধিক বড় নাম। তাঁদের সামলে বড় রান করার চ্যালেঞ্জ রিঙ্কু সিংহ, বেঙ্কটেশ আয়ারদের।
ম্যাচের আগের দিন যদিও অস্বস্তিতে ছিলেন রিঙ্কু। ব্যাট করার সময় থ্রো-ডাউন বিশেষজ্ঞের বলে পুল করতে গিয়ে পাঁজরে আঘাত পান কেকেআরের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। আঘাত লাগার পরে কয়েকটি বল খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় নেট থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। কিছুক্ষণ বরফ লাগানোর পরে চলে যান ড্রেসিংরুমে। নাইট সূত্রে খবর, রিঙ্কুর আঘাত গুরুতর নয়। আইসপ্যাক দেওয়ার পরে তাঁকে কয়েকটি ব্যায়াম করানো হয়। দেখে নেওয়া হয়, গুজরাত ম্যাচের জন্য সুস্থ কি না। নাইট শিবিরে খবর নিয়ে জানা গেল, ম্যাচ খেলতে কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা নয় রিঙ্কুর।
আরও একটি দৃশ্য নাইট সমর্থকদের কপালে ভাঁজ ফেলতে পারে। বেঙ্কটেশ আয়ারের ডান পায়ের হাঁটুতে আইসপ্যাক লাগানো ছিল অনুশীলনে। তিনি স্পিনারদের বিরুদ্ধে বেশ কিছুক্ষণ ব্যাট করেছিলেন। নেট থেকে বেরোনোর পরে প্যাড খুলেই আইসপ্যাক দিতে হয় বেঙ্কটেশকে। শনিবার অনুশীলনের সময় আন্দ্রে রাসেলের শটে আঘাত পেয়েছিলেন বৈভব অরোরা। রবিবার বিশ্রাম নেন তিনি। তাঁর পাশাপাশি বেঙ্কিও যদি সত্যিই চোট পান, নাইট শিবিরে সমস্যা বাড়বে।
পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৯৫ রানে অলআউট হওয়ার পরে নাইটদের ব্যাটিং বিভাগ নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রিঙ্কু সিংহ, রামনদীপ সিংহের ভূমিকা কী? আন্দ্রে রাসেলই বা কী করছেন? সোমবার মহম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, ইশান্ত শর্মা, রশিদ খান, সাই কিশোরের সামনে কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কেকেআর?
চেষ্টায় যদিও কোনও গাফিলতি দেখা গেল না। রামনদীপ সিংহ শেষ ম্যাচে সুইপ মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন। অভিষেক নায়ার এ দিন তাঁকে প্রায় আধ ঘণ্টা সুইপের অনুশীলন করালেন। রশিদ, সাই কিশোরদের বিরুদ্ধে রান করতে গেলে সুইপ শটের উপরে জোর দিতেই হবে।
গুজরাতের স্পিন বিভাগকে যদিও নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাই কিশোর। কারণ, রশিদ খান ছন্দে নেই। এ বারের আইপিএলে সাত ম্যাচ খেলেছেন। উইকেট পেয়েছেন মাত্র চারটি। ইকনমি রেট ৯.৭৩। ইডেনে ছন্দে ফিরতে মরিয়া আফগান তারকা। রবিবারই কলকাতায় পৌঁছয় গুজরাত টাইটানস। সন্ধে ছ’টা থেকে ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল দলের। শনিবারই ম্যাচ খেলেছে গুজরাত। অনুশীলনে প্রথম দলের ক্রিকেটারেরা আসবেন না সেটাই স্বাভাবিক। ব্যতিক্রম রশিদ। অনুশীলনে এসে একা একটি নেটে বল করলেন প্রায় এক ঘণ্টা।
শেষ ম্যাচে লেগস্পিনার যুজ়বেন্দ্র চহালকে সামলাতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছিল কেকেআর। সোমবার রশিদ যদি ছন্দে ফিরে যান, আতঙ্ক বাড়বে নাইট শিবিরে।
কেকেআরের স্পিন বোলিং কোচ কার্ল ক্রো বলছিলেন, ‘‘দু’দলেরই স্পিন বিভাগ অসাধারণ। আমার মনে হয়, স্পিনারদেরই লড়াই হবে এই ম্যাচে। আমাদের দলে যেমন বরুণ, নারাইন আছে। ওদেরও রশিদ, সাই কিশোর আছে। স্পিনারদের মধ্যে উপভোগ্য লড়াই দেখা যেতে পারে।’’
বলে রাখা যাক, পিচে ঘাস রয়েছে। সোমবারও যদি ঘাস থাকে, স্পিনারদের সমস্যা বাড়বে।