অজিঙ্ক রাহানে। —ফাইল চিত্র।
মরসুমের শুরুতেই ঘরের মাঠের পিচ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও লখনউ সুপার জায়ান্টস। দু’দলেরই অভিযোগ, ঘরের মাঠের সুবিধা তারা পাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে পিচ নিয়ে মুখ খুলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। দলগুলিকে পরামর্শ দিয়েছে তারা। বোর্ডের মতে, মরসুম শুরুর আগে পিচ প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে ভাল করে কথা বলে নেওয়া উচিত দলগুলির। মরসুমের মাঝে এই ধরনের অভিযোগ করা উচিত নয়।
বোর্ডের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত প্রতিটা মাঠের পিচ ভালই লাগছে। দলগুলো ঘরের মাঠে নিজেদের শক্তি অনুযায়ী পিচ চাইতেই পারে। কিন্তু তার জন্য দল ও পিচ প্রস্তুতকারকের মধ্যে আলোচনা হওয়া উচিত। আর সেটা মরসুম শুরু হওয়ার আগে হওয়া উচিত। আইপিএল শুরু হওয়ার পরে এই ধরনের অভিযোগ ঠিক নয়।”
লখনউয়ের পিচ নিয়েও বোর্ডের মতামত জানিয়েছেন ওই কর্তা। তিনি বলেন, “লখনউয়ের পিচের চরিত্র মন্থর। বিসিসিআইয়ের নির্দেশ অনুযায়ী, পিচের উপর ঘাস রাখতে হয়েছে। যাতে পুরো প্রতিযোগিতা জুড়ে পিচ ভাল থাকে। বাকি সব মাঠেও একই প্রক্রিয়ায় পিচ তৈরি হয়েছে। তা হলে অসুবিধা কোথায়?”
ঘরের মাঠে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে হারের পর কলকাতা নাইট রাইডার্সে অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে আর্জি জানিয়েছিলেন, ইডেনে আরও স্পিন সহায়ক উইকেট হওয়া উচিত। কিন্তু সেই আর্জি নাকচ করে দিয়েছেন ইডেনের পিচ প্রস্তুতকারক সুজন মুখোপাধ্যায়। পরে লখনউয়ের মেন্টর জাহির খান অভিযোগ করেন, তাঁদের ঘরের মাঠে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে যে পিচে খেলা হয়েছে তাতে পঞ্জাবের বোলারেরা বেশি সুবিধা পেয়েছেন। দেখে মনে হয়েছে, পিচ তৈরি করেছেন পঞ্জাবের পিচ প্রস্তুতকারক। বিশাখাপত্তনমের পিচ নিয়েও অখুশি দিল্লি ক্যাপিটালস। ফলে এই বিতর্ক ক্রমশ বাড়ছে।
গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী, আইপিএলে কী ধরনের পিচ হবে তা নিয়ে কোনও দল বা ক্রিকেটার কিছু বলতে পারবেন না। ব্যাটিং ও বোলিংয়ের মধ্যে ভারসাম্য রেখে পিচ তৈরি করবেন প্রস্তুতকারক। কিন্তু তার পরেও বিভিন্ন মাঠে ঘরের দলের সুবিধা অনুযায়ী পিচ তৈরি হয়। চেন্নাইয়ে সেই ছবি দেখা গিয়েছে। সেই কারণেই হয়তো রাহানে বা জাহির অভিযোগ করেছেন। কিন্তু বোর্ডের আধিকারিকের কথায় স্পষ্ট, এখন হয়তো আর পিচে কোনও বদল হবে না।