Litton Das

সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার পর ক্ষমা চাইলেন লিটন, বিতর্ক বাড়ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে

বিশ্বকাপে খারাপ ফলের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন লিটন দাস। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্য ক্ষমা চাইলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ১১:০৬
odi world cup

লিটন দাস। —ফাইল চিত্র

বাংলাদেশ ক্রিকেটে বিতর্ক তো কমছেই না, উল্টে আরও বেড়ে চলেছে। বিশ্বকাপে খারাপ ফলের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন লিটন দাস। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্য ক্ষমা চাইলেন তিনি। বাংলাদেশের ক্রিকেটার জানিয়েছেন, তিনি না বুঝেই এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন।

Advertisement

সমাজমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন লিটন। সেখানে বাংলায় তিনি লেখেন, ‘‘গতকাল টিম হোটেলে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আসলে আমি বুঝতে পারিনি, সেখানে এত গণমাধ্যমকর্মীদের অবস্থান ছিল। হুট করে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। মিডিয়ার প্রতি আমি বরাবরই শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যাওয়ার পিছনে গণমাধ্যমকর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য।’’

কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল রবিবার?

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারানোর পর ইংল্যান্ড ও নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বৃহস্পতিবার প্রতিপক্ষ ভারত। তার আগে দলের অধিনায়ক শাকিব আল হাসানের চোট নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তিনি খেলতে পারবেন কি না, নিশ্চিত নয়। এই আবহেই রবিবার পুণেতে পৌঁছয় বাংলাদেশ। ক্রিকেটারেরা যে হোটেলে আছেন সেখানে বেশ কিছু সাংবাদিক ছিলেন। তাঁদের দেখে হঠাৎ করে রেগে যান লিটন।

লিটন হোটেলের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করেন, কেন হোটেলে এত সাংবাদিক রয়েছেন? তাঁদের কেন ঢুকতে দেওয়া হয়েছে? তিনি আরও বলেন, অনুমতি ছাড়া যেন সাংবাদিকদের ঢুকতে না দেওয়া হয়। এ কথা শুনে সাংবাদিকেরা রেগে যান। তাঁরা প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন, লিটন শুধু তাঁদের নয়, বাংলাদেশকে অপমান করেছেন। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ বার ক্ষমা চাইলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার।

বিশ্বকাপের আগে থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বিতর্ক শুরু হয়েছে। দলে নেওয়া হয়নি প্রাক্তন অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। প্রকাশ্যে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন অধিনায়ক শাকিব আল হাসানও। এই ঘটনার পরে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ জেতার পরে মনে হয়েছিল, বিতর্ক থামবে। কিন্তু আবার তা বেড়ে গেল।

Advertisement
আরও পড়ুন