হরমনপ্রীত কৌর। ছবি: বিসিসিআই।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ় নির্ণায়ক ম্যাচেও প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারল না ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল। টস জিতে প্রথম ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি। ২০ ওভারে হরমনপ্রীত কৌরের দল তুলল ৬ উইকেটে ১৪৭ রান। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ১৮.৪ ওভারে ৩ উইকেটে করল ১৪৯ রান। এক দিনের সিরিজ়ের পর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ় ২-১ ব্যবধানে জিতে নিল অসিরা। ক্রিকেটের তিন বিভাগেই ভারতীয় মহিলা দলকে মঙ্গলবার টেক্কা দিল অস্ট্রেলিয়ার মহিলা দল।
দুই ওপেনার শেফালি বর্মা এবং স্মৃতি মন্ধানা শুরুটা খারাপ করেননি। তবে ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারের ব্যাটারেরা রান পেলেন না। দলের কেউই বড় রান করতে পারলেন না। ফলে তৈরি হল না কোনও ভাল জুটি। শেফালি ৬টি চারের সাহায্যে ১৭ বলে ২৬ রান করেন। সহ-অধিনায়ক মন্ধানা ২টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে করেন ২৮ বলে ২৯ রান। ব্যর্থ জেমাইমা রডরিগেজ (২) এবং হরমনপ্রীত (৩)। ফলে ১ উইকেটে ৬০ থেকে কয়েক বলের ব্যবধানে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৪ উইকেটে ৬৬। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরেন বাংলার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রিচা ঘোষ। তিনি ২টি চার এবং ৩টি ছক্কা মারেন। ২৮ বলে ৩৪ রানের ইনিংস এসেছে রিচার ব্যাট থেকে। দীপ্তি শর্মা করেন ১৪। শেষ পর্যন্ত আমনজ্যোৎ কৌর ১৭ এবং পূজা বস্ত্রকার ৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড। ১২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২৪ রানে ২ উইকেট জর্জিয়া ওয়্যারহ্যামের। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন মেগান শাট এবং অ্যাশলে গার্ডনার। শাট অবশ্য মহিলাদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন। শেফালিকে আউট করেন তিনি। মঙ্গলবারের পর ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০৫ ম্যাচে অসি বোলারের উইকেট সংখ্যা হল ১৩১। তিনি টপকে গেলেন পাকিস্তানের নিদা দারকে। ১৪১টি ম্যাচে তাঁর উইকেট সংখ্যা ১৩০।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার হিলি এবং বেথ মুনি। সফরকারীদের ওপেনিং জুটি ভাঙতে ভাঙতেই ম্যাচের রাশ কার্যত হাতছাড়া করে ফেলেন হরমনপ্রীতেরা। মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের ২২ গজে সাবলীল ভাবে রান তুললেন দুই অসি ওপেনার। প্রথম ১০ ওভারে হিলি-মুনি জুটি তুলে নেয় ৮৫ রান। ১০তম ওভারের শেষ বলে আউট হন অসি অধিনায়ক। ৯টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে তিনি করেন ৩৮ বলে ৫৫ রান। শেষ ১০ ওভারের জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ৬৩ রান। তিন নম্বরে টাহিলা ম্যাকগ্রা করলেন ১৫ বলে ২০ রান। চার নম্বরে নেমে রান পেলেন না এলিসি পেরি (শূন্য)। তাতেও অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলতে পারেননি হরমনপ্রীতেরা। উইকেটের এক দিক আগলে রেখেছিলেন মুনি। তিনি দলকে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধেন ফর্মে থাকা ফোবি লিচফিল্ড। শেষ পর্যন্ত মুনি করেন ৪৫ বলে ৫২ রান। তাঁর অপরাজিত ইনিংসে ছিল ৫টি চার। লিচফিল্ডের ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ১৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। তিনি মারেন ৩টি চার।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফলতম বস্ত্রকার। তিনি ২৬ রান খরচ করে ২ উইকেট নিলেন। ৩২ রানে ১ উইকেট দীপ্তির। বাংলার তিতাস সাধু ২৩ রান দিলেও এ দিন কোনও উইকেট পেলেন না।