Shakib Al Hasan

Asia Cup 2022: এশিয়া কাপে অশান্তি, শ্রীলঙ্কাকে মাঠে বুঝে নেওয়ার হুঁশিয়ারি বাংলাদেশের

আবার লেগে গেল বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার। শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের মন্তব্য ঘিরে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ শিবির। শনকাদের মাঠে বুঝে নেওয়ার হুঁশিয়ারি শাকিবদের।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২২ ১৫:৩৭
শাকিবরা ক্ষুব্ধ শনকার মন্তব্যে।

শাকিবরা ক্ষুব্ধ শনকার মন্তব্যে। ফাইল ছবি।

ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনকার ‘সহজ প্রতিপক্ষ’ মন্তব্যে চটেছেন শাকিব আল হাসানরা। শ্রীলঙ্কাকে মাঠে বুঝে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহদি হাসান। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপের ম্যাচে মুখোমুখি হবে দু’দল।

এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই আফগানিস্তানের কাছে কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবে হেরে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রতিযোগিতার শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা কেমন বুঝছেন? ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণের সময় সঞ্চালকের এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিতর্ক তৈরি করেন শনকা। ব্যাটারদের ব্যর্থতা মেনে নিয়েও তিনি বলেছিলেন, ‘‘আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণ বিশ্বমানের। বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান বেশ ভাল বোলার। শাকিব আল হাসান বিশ্বমানের ক্রিকেটার। ওরা দু’জন ছাড়া বাংলাদেশ দলে আর কোনও বিশ্বমানের বোলার নেই। আমাদের গ্রুপে আফগানিস্তান তুলনায় কঠিন প্রতিপক্ষ। বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসাবে সহজ।’’

Advertisement

শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের এই মন্তব্যেই অগ্নিশর্মা শাকিবরা। বাংলাদেশ অধিনায়ক নিজে মুখ খোলেননি। শ্রীলঙ্কাকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন মেহদি। তাঁর বক্তব্য, কারা শক্তিশালী আর কারা দুর্বল সেটা মাঠেই দেখা যাবে। বাংলাদেশের অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘কোনও দল ভাল বা খারাপ, এমন কিছু বলতে চাইছি না। মাঠেই বোঝা যাবে কারা ভাল, কারা খারাপ। ভাল দলও তাদের খারাপ দিনে হেরে যেতে পারে। আবার দুর্বল দল ভাল খেলে জিততে পারে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘মাঠে খেলা হবে। যারা ভাল খেলবে, তারাই জিতবে। আমরা কতটা ভাল দল সেটা মাঠে নেমে প্রমাণ করতে চাই। আগে থেকে কিছু ধরে নেওয়ার থেকে মাঠে ভাল খেলাটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’’

ক্রিকেটে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার বাগযুদ্ধ নতুন নয়। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে মাঠেই তর্কে জড়ান বাংলাদেশের নুরুল হাসান এবং শ্রীলঙ্কার তৎকালীন অধিনায়ক থিসারা পেরেরা. ক্ষুব্ধ শাকিব দল তুলে নেওয়ার হুমকিও দেন। বাংলাদেশ ইনিংসে শেষ ওভারে একটি বাউন্সার ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। শাকিবরা ‘নো বল’ দাবি করলেও আম্পায়াররা দেননি। সেই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত অবশ্য বাংলাদেশই জয় পেয়েছিল। প্রতিযোগিতার ফাইনালে শ্রীলঙ্কার দর্শকরাও গ্যালারি থেকে উপহাস করেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।

আরও পড়ুন
Advertisement