বিশ্বকাপে ভারতের খারাপ পারফরম্যান্স আরও আছে। কিন্তু কোনও বারই প্রথম দু’টি ম্যাচে ভারতকে হারতে হয়নি। ফাইল চিত্র।
এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ১৩ বল বাকি থাকতে ১০ উইকেটে হার। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩৩ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে হার। ২২ বছর পরে ভারত বিশ্বকাপে প্রথম দু’টি ম্যাচে হারের লজ্জা ফিরিয়ে আনল।
১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ডে একদিনের বিশ্বকাপে ভারত প্রথম দু’টি ম্যাচে হেরেছিল। সে বার মহম্মদ আজহারউদ্দিনের নেতৃত্বে ভারত প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ উইকেটে হারে। পরের ম্যাচে জিম্বাবোয়ের কাছে ৩ রানে হেরে যায় ভারত।
বিশ্বকাপে ভারতের খারাপ পারফরম্যান্স আরও আছে। ২০০৭ সালে একদিনের বিশ্বকাপ, ভারত গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছিল। ২০০৯ এবং ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইট পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল। কিন্তু কোনও বারই প্রথম দু’টি ম্যাচে ভারতকে হারতে হয়নি।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫৩ রান তোলে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ১৪২ বলে ৯৭ রান করেন। রাহুল দ্রাবিড় করেন ৭৫ বলে ৫৪ রান। লান্স ক্লুজনার ৬৬ রান দিয়ে সচিন তেন্ডুলকর, আজহারউদ্দিন ও দ্রাবিড়ের উইকেট নেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। জাক কালিস ১২৮ বলে ৯৬ রান করেন।
দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল দুর্বল জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে জিম্বাবোয়ে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫২ রান তোলে। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ৮৫ বলে অপরাজিত ৬৮ রান এবং গ্রান্ট ফ্লাওয়ার ৮৯ বলে ৪৫ রান করেন। জাভাগাল শ্রীনাথ, বেঙ্কটেশ প্রসাদ ও অনিল কুম্বলে ২টি করে উইকেট নেন। রান তাড়া করার সময় বৃষ্টির জন্য ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৬ ওভারে ২৫৩। কিন্তু ৪৫ ওভারে ২৪৯ রানে শেষ হয়ে যায় ভারত। সদাগোপান রমেশ (৫৫) ও অজয় জাডেজা (৪৩) ছাড়া কেউ ভাল রান পাননি। হিথ স্ট্রিক ও হেনরি ওলঙ্গা ৩টি করে উইকেট নেন।
সে বার ভারত অবশ্য পরের রাউন্ড সুপার সিক্সে গিয়েছিল। এ বার বিরাট কোহলীর নেতৃত্বে প্রথম দু’টি ম্যাচে হেরে ভারতের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই।