সত্যিই কি আছে ভিন্গ্রহী? -ফাইল ছবি।
ভিন্গ্রহে কি সত্যিই প্রাণ আছে? নাকি সবটাই আমাদের কল্পনা? আমরা কি শুধুই হাতড়ে যাচ্ছি এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহ? নাকি তার সত্যিই কোনও কারণ রয়েছে? রয়েছে কি কোনও বদ্ধমূল বিশ্বাসের ভিত?
ভিন্গ্রহে প্রাণ না থাকলেই অবাক হতে হবে, বলছে নাসা
নাসার বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ভিন্গ্রহে প্রাণ না থাকলেই সেটা হবে সবচেয়ে বেশি বিস্ময়কর ঘটনা। বরং ভিন্গ্রহে বা আমাদের সৌরমণ্ডলেরই কোনও না কোনও গ্রহে প্রাণের উদ্ভব আর তার বিকাশই খুব স্বাভাবিক ঘটনা। শুধুই উদ্ভব আর বিকাশ নয়, সেই প্রাণ এখনও টিকে থাকতেই পারে কোনও না কোনও গ্রহে। ব্রহ্মাণ্ডের কোনও না কোনও মুলুকে।
ভিন্গ্রহ ও কার্ল সাগান
বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও জনপ্রিয় বিজ্ঞান লেখক কার্ল সাগান তাঁর বইয়ে লিখেছিলেন, “ব্রহ্মাণ্ড এতটাই বিশাল যে কল্পনারও অতীত। সাধারণ ভাবে মনে হতেই পারে এর কোনও সীমা, পরিসীমা নেই। নেই কোনও চৌহদ্দিও। সেই ব্রহ্মাণ্ডে যদি প্রাণ শুধু পৃথিবীতেই থাকে, তা হলে প্রাণ সৃষ্টির জন্য কতটা এলাকা নষ্ট করা হয়েছে, ভাবুন তো? ব্রহ্মাণ্ডের কেনই বা এত খামখেয়াল হবে, যার ফলে প্রাণ থাকবে শুধুমাত্র একটি গ্রহে! ব্রহ্মাণ্ডের বিশালত্বের নিরিখে যে পৃথিবী ধূলিকণার চেয়েও ক্ষুদ্র!”
কী বলছেন নাসার বিজ্ঞানী লিন্ডসে হেস?
এর পরেও যদি এ ব্যাপারে আমাদের এখনও কোনও সন্দেহ থেকে থাকে, তা হলে তার থেকে হয়তো বেরিয়ে আসার পথ দেখাতে পারে এ বার নাসার দুই বিশিষ্ট মহিলা বিজ্ঞানীর বক্তব্য। লিন্ডসে হেস এবং মিশেল থ্যালার।
শুনুন ভিন্গ্রহে বা সৌরমণ্ডলের ভিন্ মুলুকে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে কী বলছেন নাসার বিজ্ঞানী লিন্ডসে হেস-
নাসার বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, সৌরমণ্ডলেই রয়েছে প্রাণের অস্তিত্ব। তা এখনও টিকে রয়েছে। সেই প্রাণ আমাদের পৃথিবীর চেনা প্রাণের মতো নাও হতে পারে। আবার হতেও পারে। অণুজীবের অস্তিত্ব তো রয়েছেই সৌরমণ্ডলের অন্য কোনও গ্রহে, এমনটাই বিশ্বাস নাসার বিজ্ঞানীদের।
কী বলছেন নাসার বিজ্ঞানী মিশেল থ্যালার?
শুনুন ভিন্গ্রহে বা সৌরমণ্ডলের ভিন্ মুলুকে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে কী বলছেন নাসার বিজ্ঞানী মিশেল থ্যালার-
পথ দেখাতে পারে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ
এ বছরের শেষের দিকে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে যে অত্যন্ত শক্তিশালী ‘জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি)’, তা অদূর ভবিষ্যতে আমাদের যাবতীয় সন্দেহ সংশয়ের অবসান ঘটাবে বলেই বিশ্বাস নাসার বিজ্ঞানীদের।