বাসি ডাল দিয়ে কী কী স্ন্যাক্স বানাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
দীপাবলির সন্ধেয় বাড়িতে হঠাৎই যদি বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়-পরিজনেরা এসে যান তা হলে চটজলদি কী রাঁধবেন তা ভেবে চিন্তা করতে হবে না। মাছ বা মাংস ফ্রিজে না থাকলেও ক্ষতি নেই। বাড়িতে যদি কিছু সব্জি ও রান্না করা বাসি ডাল থাকে, তাই দিয়ে নিত্যনতুন পদ রেঁধে দিতে পারবেন। দোকান থেকে ভাজাভুজি বা বেশি তেলমশলা দেওয়া খাবার আনানোর দরকার নেই। বরং স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স ঘরোয়া উপকরণ দিয়েই বানিয়ে ফেলুন। সময়ও বেশি লাগবে না।
বাসি ডাল দিয়ে কী কী স্ন্যাক্স বানাবেন?
ডাল পরোটা
ময়দা ভাল করে মেখে লেচি কেটে নিন। এ বার বাসি ডাল একটু শুকনো করে নিয়ে তার মধ্যে লঙ্কা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, ধনে পাতা কুচি দিয়ে মেখে পুর তৈরি করুন। এ বার ময়দার লেচির ভিতরে ডালের পুর ভরে হালকা হাতে পরোটার মতো বেলে নিয়ে অল্প তেলে এ পিঠ ও পিঠ ভেজে নিন। ধনেপাতা বা পুদিনার চাটনির সঙ্গে ভালই লাগবে খেতে।
ডাল ইডলি
রান্না ডালের সঙ্গে টক দই, চালের গুঁড়ো, সুজি বা ওট্স মিশিয়ে নিয়ে কিছু ক্ষণ রেখে দিন। রান্না করার আগে ইডলি তৈরির ছাঁচের গায়ে ভাল করে মাখন মাখিয়ে নিন। এ বার মিশ্রণ ছাঁচে ঢেলে মিনিট ১০ ভাপিয়ে নিন। নরম, স্পঞ্জের মতো ইডলি তৈরি হয়ে যাবে সহজেই। গোটা চাল বা ডাল ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার ঝক্কিও থাকবে না।
ডাল বড়া
বাসি ডাল দিয়েও বানানো যায় সুস্বাদু ডালের বড়া। বাড়িতে যা সব্জি থাকবে তা সিদ্ধ করে অল্প তেলে দিয়ে নেড়ে নিন। এ বার সেই সব্জিতে ডাল মিশিয়ে তাতে টম্যাটো কুচি, পেঁয়াজ, লঙ্কা, ধনেপাতা কুচি, আদা কুচি, সামান্য জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে ভাল করে চটকে মেখে নিন। এ বার সেই মণ্ড থেকে চ্যাপ্টা বড়ার মতো গড়ে নিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে ভেজে নিন। চাইলে একটি ডিম ফেটিয়ে সেই মিশ্রণে ডুবিয়েও ভাজতে পারেন। পুদিনার চাটনির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।
ডাল চিল্লা
রান্না ডাল থাকলে তার সঙ্গে সব্জি, পেঁয়াজ, লঙ্কা, ধনেপাতা কুচি, টম্যাটো কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি মিশিয়ে, স্বাদমতো নুন দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার প্যানে সামান্য তেল ব্রাশ করে নিন। হাতায় করে সেই মিশ্রণ থেকে তুলে নিয়ে প্যানে দোসার মতো করে দিয়ে ভেজে নিন। এই পদ স্বাস্থ্যকর তো বটেই, মুখরোচকও।