ভারত-পাক ক্রিকেট ম্যাচ আরও জমজমাট হয়ে উঠবে, সঙ্গে যদি থাকে মুখরোচক খাবার। ছবি: সংগৃহীত।
রবিসন্ধ্যায় বাইশ গজের লড়াইয়ে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান। যুযুধান দুই পক্ষের লড়াই দেখতে উৎসুক ক্রিকেটপ্রেমীরা।ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা থেকে শুরু হবে খেলা। একে রবিবার, তার উপর ভারত-পাক ক্রিকেট ম্যাচ—ফলে টান টান উত্তেজনার পাশাপাশি একটা বাড়তি তৎপরতাও কাজ করছে। হাতের কাজ সেরে টিভির সামনে বসার তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে। একসঙ্গে খেলা দেখতে দেখতে ভারতের হয়ে গলা ফাটাবেন বলে অনেকে আবার বাড়িতে বন্ধুদেরও আসতে বলেছেন। এই আড্ডা আরও জমজমাট হয়ে উঠবে, সঙ্গে যদি থাকে মুখরোচক খাবার। চিপ্স, চানাচুরের বদলে এই আড্ডায় যোগ্য সঙ্গত দেবে পেশোওয়ারি কবাব। রইল প্রণালী।
পেশোয়ারি চিকেন কবাব
উপকরণ আগে থেকে গোছানো থাকলে বানাতে বিশেষ সময় লাগবে না। প্রথমে রসুন, ধনেপাতা, টম্যাটো, পেঁয়াজ, লঙ্কা, পার্সলে পাতা কুচিয়ে কেটে নিন। আগে থেকে ধুয়ে রাখা মুরগির মাংসের কিমার সঙ্গে সমস্ত সব্জিগুলি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে একে একে অল্প ময়দা, ডিমের সাদা অংশ, গরম মশলা, চিকেন মশলা, গোলমরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো ভাল করে হাত দিয়ে মেখে নিন। এই মিশ্রণটি আধ ঘণ্টা মতো ফ্রিজে রেখে দিন। ৩০ মিনিট পরে ফ্রিজ থেকে বার করে কবাবের আকারে গড়ে নিন। তার পর কড়াইয়ে অল্প তেল গরম করে সেঁকে নিলেই তৈরি হযে যাবে কবাব।
টাংরি কবাব
এই কবাব মুরগির পায়ের অংশ দিয়ে বানাতে হয়। আদা-রসুন বাটা, লেবুর রস, নুন, তেল দিয়ে মাখিয়ে লেগপিসগুলি ৩০ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখুন। এ বার অন্য একটি পাত্রে রসুন বাটা, আদা বাটা, নুন, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, গরম মশলা এবং সর্ষের তেল দিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এই মিশ্রণে আগে থেকে ম্যারিনেট করা মাংসগুলি ভাল করে মিশিয়ে কিছু ক্ষণ ফ্রিজে রাখুন। মশলা মাংসের গায়ে জমে গেলে তেল ব্রাশ করে গ্রিল করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু টাংরি কবাব।
প্যারে কবাব
মুরগির মাংসের টুকরোগুলি ভাল করে ধুয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এ বার একটি পাত্রে সেই মিশ্রণটি নিয়ে একে একে টক দই, ছাতু, গোলমরিচ গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, কবাব মশলা, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা কুচি, ধনেপাতা কুচি, নুন, সর্ষের তেল দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে রাখুন। এ বার পাত্রটি ঢাকা দিয়ে ফ্রিজে তুলে রাখুন ২-৩ ঘণ্টার জন্য। ফ্রিজ থেকে বার করে প্রয়োজনে মিশ্রণটি আরও আঁটসাঁট করার জন্য পরিমাণ মতো ছাতু যোগ করুন। একটি ছোট পাত্রে গরম কয়লাটি রাখুন। এর পর সেই পাত্রটি মূল মিশ্রণের মধ্যে রেখে কয়লার উপর ঘি ঢেলে পাত্রের মুখটি ভাল করে ঢেকে দিন। যাতে ঘি ও পোড়া গন্ধ দুই-ই মাংসের মিশ্রণে মিশে যায়। এ বার একটি শিক বা কাঠিতে তেল মাখিয়ে মাংসের মিশ্রণটি খানিকটা করে নিয়ে শিকের গায়ে কবাবের মতো গেঁথে নিন। গ্রিল প্যানে সামান্য মাখন নিয়ে ভাল করে তাতিয়ে নিন। গেঁথে রাখা কবাবগুলি সেঁকে নিন। পুদিনার চাটনি আর পেঁয়াজের সঙ্গে গরমাগরম পরিবেশন করুন প্যারে কবাব।
চাপলি কবাব
পেশোয়ারের অত্যন্ত বিখ্যাত একটি কবাব। প্রথমে বোনলেস মুরগিল মাংস মিক্সিতে ঘুরিয়ে মিহি পেস্ট করে নিন। এর পর একটি বাটিতে মাংসের পেস্টের সঙ্গে পেঁয়াজকুচি, টম্যাটো কুচি, গরমমশলা, আদা-রসুন বাটা, অল্প নুন, আনারদানা পাউডার, জিরে গুঁড়ো, অল্প বেসন, ধনেপাতা কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। এ বার চ্যাপ্টা কবাবের মতো আকারে গড়ে অল্প তেলে দু’পিঠ লাল করে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে চাপলি কবাব।
মটন বোটি কবাব
প্রথমে আদা-রসুন কুচি ও কুরে রাখা কাঁচা পেঁপের একটি পেস্ট তৈরি করুন। এ বার একটি পাত্রে পাঁঠার মাংসের টুকরোগুলি নিয়ে এই পেস্টটি দিয়ে ম্যারিনেট করুন। তার মধ্যে একে একে কাঁচা লঙ্কা, লঙ্কা গুঁড়ো, দারচিনি গুঁড়ো, লবঙ্গ গুঁড়ো, এলাচ গুঁড়ো, কালো গোলমরিচ গুঁড়ো ও ধনে গুঁড়ো দিয়ে দিন। সব দেওয়া হয়ে গেলে ভাল করে মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এ বার দই ও ভাজা পেঁয়াজও দিয়ে দিন এবং আবার ভাল করে মিশিয়ে নিন। মেশানো হয়ে গেলে তাতে কাঠখোলায় ভাজা বেসন দিয়ে আরও কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করে মাখিয়ে নিন। মিশ্রণটি প্রায় কিছু ক্ষণ রেখে দিতে হবে। তার পর কবাবগুলি ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২৫ মিনিট মতো গ্রিল করুন। তৈরি মটন বোটি কবাব। কাঁচা পেঁয়াজ, লেবু ও পুদিনা চাটনির সঙ্গে গরম গরম খান।