জলখাবারে পুষ্টিকর ও মুখরোচক উপমা রেঁধে খাওয়াতে পারেন বাড়ির সকলকে। ছবি: ফ্রিপিক।
প্রাতরাশে একঘেয়ে পাউরুটি বা দুধ-কর্নফ্লেক্স খেতে কার ভাল লাগে! স্বাদ বদলানোর কথা ভাবলেই লুচি বা পরোটার কথাই মাথায় আসে। কিন্তু সকাল সকাল তেলে ভাজা পরোটা খাওয়া মানেই গ্যাস-অম্বলের সমস্যাকে নিমন্ত্রণ করে আনা। আবার যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁদের প্রাতরাশে স্বাস্থ্যকর কিছু খেতেই হবে। সন্ধের জলখাবার নিয়েও একই রকম চিন্তা থাকে। হালকা কিছু খেতে মন চাইলে, কী বানাবেন তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হয়। তাই খুব কম সময়েই অল্প কিছু উপকরণ দিয়েই খুব সহজেই স্বাস্থ্যকর ও মুখরোচক জলখাবার বানিয়ে ফেলা যায়।
সব্জি দিয়ে উপমা
মরসুমি সব্জি দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন মুখরোচক উপমা। সাদা খোলায় সুজি হালকা করে নেড়ে নিন। এ বার কড়াইতে এক চামচ সাদা তেল দিয়ে তাতে গোটা সর্ষে, কারি পাতা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজুন। পেঁয়াজ হালকা বাদামি হলে তাতে গাজর, বিন্স, ক্যাপসিকাম ও অন্য কোনও সব্জি দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এ বার তাতে সুজি ও অল্প জল দিয়ে ঢেকে বসিয়ে দিন। সিদ্ধ হয়ে গেলে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন যাতে ঝুরঝুরে হয়। এ বার ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
ব্রেড উপমা
পাউরুটির চারটে স্লাইস ছোট ছোট করে টুকরো করে নিন। গাজর, বিন্স, ক্যাপসিকাম কুচিয়ে রাখুন। কড়াইতে এক চামচ সাদা তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি, কারিপাতা এবং কাঁচালঙ্কা কুচি দিয়ে মিনিটখানেক নাড়াচাড়া করে নিন। তার পর তাতে কুচনো সব্জি দিয়ে ২ থেকে ৩ মিনিট রান্না হতে দিন। স্বাদ মতো নুন এবং হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার ছোট টুকরোয় কেটে রাখা পাউরুটির টুকরোগুলো কড়াইতে দিয়ে আরও ২ থেকে ৩ মিনিটের জন্য ভেজে নিন। পাউরুটির টুকরো যেন মুচমুচে হয়ে যায়। কড়া থেকে নামানোর আগে রোস্টেড চিনাবাদাম এবং পাতিলেবুর রস ছড়িয়ে দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
নারকেলের উপমা
নারকেল বেটে দুধ তৈরি করে নিন। এ বার কড়াইতে সাদা তেল গরম করে তাতে গোটা সর্ষে, কারি পাতা, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভাজুন। তার পর সুজি দিয়ে নাড়াচাড়া করে নারকেলের দুধ দিয়ে দিন। ভাল করে নাড়তে হবে যাতে কড়াইতে লেগে না যায়। ঝুরঝুরে হয়ে এলে নামিয়ে নিয়ে উপরে নারকেল কোরা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
কিনোয়া উপমা
কিনোয়া সিদ্ধ করে নিন। গাজর, বিন্স, ক্যাপসিকাম, ব্রোকোলি যা যা সব্জি পছন্দ কুচিয়ে রাখুন। এ বার কড়াইতে সাদা তেল গরম করে তাতে গোটা সর্ষে, কারি পাতা, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভাজুন। অলিভ তেলেও রান্নাটি করতে পারেন। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে তাতে পছন্দের সব্জি দিয়ে ২-৩ মিনিট নাড়াচাড় করুন। অল্প হলুদ ও স্বাদমতো নুন দিন। তার পর সিদ্ধ করা কিনোনা দিয়ে আরও ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন। উপরে গোলমরিচ ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
ওট্সের উপমা
ওট্স শুকনো খোলা ভেজে তুলে রাখুন। কড়াইতে আধ চা চামচ তেল অথবা এক চা চামচ ঘি দিয়ে সর্ষে, কারি পাতা ফোড়ন দিন। এর পর পেঁয়াজ কুচি, আদা কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি দিয়ে নেড়ে নিন। গাজর কুচি, কড়াইশুঁটি, বিন্স কুচি দিয়ে আরও ২ মিনিট নাড়ুন। জল দিয়ে চাপা দিন। ৮-৯ মিনিট লাগবে সব্জি ভাল ভাবে সিদ্ধ হতে। সব্জি সিদ্ধ হয়ে গেলে তাতে ওট্স দিয়ে, হালকা নেড়ে নুন দিন। এ বার আঁচ কমিয়ে, চাপা দিয়ে সিদ্ধ হতে দিন। হয়ে গেলে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।