গরম ভাতের সঙ্গে থাকুক আম-ইলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষায় প্যাচপ্যাচে জল-কাদা পেরিয়ে, থলে হাতে বাজারে যাওয়ার কারণ তো একটাই। ইলিশ! দিন কয়েক আগে ডায়মন্ড হারবারে টন টন ইলিশ ওঠার খবর পাওয়া গিয়েছিল। মাছের আড়ৎ ঘুরে এত দিনে নিশ্চয়ই পাড়ার বাজার সে সব মাছ ঢুকে পড়েছে। যদিও এখন খুঁজলে সারা বছরই ইলিশ পাওয়া যায়। কিন্তু, ভরা বর্ষায় টাটকা মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। ইলিশের টক, ভাপা, পাতুরি, দই ইলিশ, ইলিশ-বেগুনের ঝোল, সর্ষে দিয়ে ঝাল... আরও কত কী! নাম শুনেই জিভে জল আসার উপক্রম। কিন্তু কাঁচা আম দিয়ে কখনও ইলিশ খেয়ে দেখেছেন কি? একটু অন্য স্বাদের মাছের টক-ঝাল পদ চেখে দেখতে চাইলে রেঁধে ফেলতে পারেন আম-ইলিশ। কী ভাবে বানাবেন? রইল প্রণালী।
উপকরণ
৫-৬টি ইলিশ মাছের টুকরো
১টি কাঁচা আম
আধ কাপ সর্ষের তেল
আধ চা চামচ কালোজিরে
৩-৪টি কাঁচালঙ্কা
২ টেবিল চামচ কালো সর্ষে বাটা
২ টেবিল চামচ রাই সর্ষে বাটা
আধ চা চামচ গুঁড়ো হলুদ
আধ চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো
পরিমাণ মতো নুন
প্রণালী
প্রথমে ইলিশ মাছ ভাল করে ধুয়ে নুন, হলুদ মাখয়ে রাখুন।
এ বার কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করতে দিন। কালোজিরে এবং কাঁচালঙ্কার ফোড়ন দিয়ে কাঁচা আমের টুকরো নাড়াচাড়া করে নিন।
তার পর কড়াইতে দিয়ে দিন পরিমাণ মতো নুন, হলুদ এবং লঙ্কা গুঁড়ো। আবার কিছু ক্ষণ কষিয়ে নিন। তার পর ছাঁকনিতে ছেঁকে কড়াইতে দু’রকম সর্ষে বাটা দিয়ে দিন। তবে, খোসা-সহ সর্ষেবাটা দিলে কিন্তু তিতকুটে লাগতে পারে।
এ বার ঝোল খানিক ক্ষণ ফুটতে দিন। আম তত ক্ষণে সেদ্ধ হয়ে আসবে। একেবারে শেষে নুন, হলুদ মাখানো মাছগুলি দিয়ে দিন। কড়াই ঢাকা দিয়ে আরও কিছু ক্ষণ ফুটতে দিন। নামানোর আগে অল্প সর্ষের তেল ছড়িয়ে দিলেই কাজ শেষ। সপ্তাহান্তে দুপুরবেলা গরম ভাতের সঙ্গে চেখে দেখুন আম-ইলিশ।