ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতে চিংড়ির ভর্তা। ছবি- সংগৃহীত
‘উফ কী শীত! কষে গাও গীত’! তবে ইদানীং যা ঠান্ডা পড়ছে, তাতে গান গেয়ে এই শীতে গা গরম হওয়ার নয়। ছুটির দিনে দুপুরে ভাত খাওয়ার পর যেন কাঁপুনি আরও বাড়তে থাকে। পৌষের এই শীতের কাঁপুনি কাটাতে কষিয়ে ঝাল দিয়ে এমন কোনও পদ খেলে কেমন হয়? এখন তো বাজারে চিংড়ি মাছ ওঠে। সেই চিরাচরিত মালাইকারি বা চচ্চড়ি না খেয়ে স্বাদ বদলের জন্য একটু ঝাল ঝাল চিংড়ির ভর্তা বানালে মন্দ হয় না। ভাবছেন, ভর্তা তো ওপার বাংলার খাবার, এপারে বসে কী করে বানাবেন? চট করে ভর্তা বানানোর রেসিপি রইল এখানে।
কী ভাবে বানাবেন ঝাল ঝাল চিংড়ির ভর্তা?
উপকরণ:
১) চিংড়ি মাছ: ৫০০ গ্রাম
২) পেঁয়াজ কুচি: ২টি
৩) কাঁচালঙ্কা কুচি: ৪টি
৪) রসুন কুচি: ৫ কোয়া
৫) আদা কুচি: ২ চা চামচ
৬) ধনে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
৭) জিরে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
৮) গোটা জিরে: ১ টেবিল চামচ
৯) শুকনো লঙ্কা: ২টি
১০) হলুদ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
১১) লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
১২) লেবুর রস: ১ টেবিল চামচ
১৩) পুদিনা পাতা: ২ টেবিল চামচ
১৪) ধনে পাতা: আধ কাপ
১৫) সর্ষের তেল: ৫ টেবিল চামচ
১৬) নুন: স্বাদ অনুযায়ী
১৭) চিনি: এক চিমটে
প্রণালী:
১) প্রথমে মিক্সিতে চিংড়ি মাছ, পেঁয়াজ, লঙ্কা, আদা, রসুন একসঙ্গে মিহি করে বেটে নিন। শিলে বাটতে পারলে আরও ভাল।
২) এ বার কড়াইতে সর্ষের তেল গরম হতে দিন।
৩) ফোড়ন হিসাবে তেলের মধ্যে দিন গোটা জিরে এবং শুকনো লঙ্কা।
৪) এ বার ওই চিংড়ি বাটার মিশ্রণ ঢেলে নাড়তে থাকুন।
৫) একটু ভাজা ভাজা হলে এর মধ্যে দিয়ে দিন হলুদ, জিরে, ধনে এবং শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো। খেয়াল রাখবেন আঁচ যেন খুব জোরে না থাকে।
৬) ভাল করে কষিয়ে নিয়ে এ বার দিয়ে দিন নুন এবং চিনি।
৭) কষতে কষতে মাছ থেকে তেল ছেড়ে এলে উপর থেকে ছড়িয়ে দিন ধনে এবং পুদিনা পাতা।
৮) গ্যাস বন্ধ করে উপর থেকে ছড়িয়ে দিন লেবুর রস।
৯) শীতের দুপুরে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন চিংড়ির ভর্তা।