ডিম সেদ্ধ করার সঠিক নিয়ম। ছবি: সংগৃহীত।
ডিমসেদ্ধর যে ৬টি প্রকারভেদ রয়েছে, তা জানতেন? সেদ্ধ ডিম বলেই খালাস হলে চলবে না। ঠিক কোন ধরনের ডিমসেদ্ধর কথা বলা হচ্ছে, সেটি বর্ণনা করে দিতে হবে। সঙ্গে জানিয়ে দিতে হবে, কোনটি বানানোর জন্য কত মিনিট ব্যায় করতে হবে।
১. নরম সাদা অংশ, তরল কুসুম- ৪ মিনিট
২. হালকা শক্ত সাদা অংশ, তরল কুসুম- ৫ মিনিট
কোন ডিম বানাতে কত ক্ষণ নেবেন? ছবি: সংগৃহীত।
৩. হালকা শক্ত সাদা অংশ, থকথকে কুসুম- সাড়ে ৬ মিনিট
৪. হালকা শক্ত সাদা অংশ, একটু বেশি থকথকে কুসুম- সাড়ে ৭ মিনিট
ডিম সেদ্ধ করতে কত সময় লাগবে? ছবি: সংগৃহীত।
৫. শক্ত সাদা অংশ, হালকা শক্ত কুসুম- ১০ মিনিট
৬. শক্ত সাদা অংশ, শক্ত কুসুম- ১১ মিনিট
সেদ্ধ ডিম বানানোর সঠিক নিয়ম জানুন। ছবি: সংগৃহীত।
কিন্তু কী ভাবে বানাতে হবে এই ৬ ধরনের ডিমসেদ্ধ?
একটি বড় পাত্রে জল ভরে স্টোভে চাপিয়ে দিন। ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা ডিমগুলি ধীরে ধীরে চামচ দিয়ে জলে নামিয়ে দিন। হুট করে ফ্রিজের ঠান্ডা থেকে প্রায় ফুটন্ত জলের সংস্পর্শে এসে অনেক সময়ে ডিমের খোলায় ফাটল ধরে যায়। সেটি যাতে না হয়, তার জন্য চামচ দিয়ে দু’বার ডিম তুলে আবার জলে নামিয়ে দিন। এর ফলে তাপমাত্রার সঙ্গে বোঝাপড়া করতে সুবিধা হবে ডিমের। এ বার আঁচ ঢিমে করে দিন। যে ধরনের ডিমসেদ্ধে প্রয়োজন, তা মেনে সময় মতো তুলে নেবেন। ৪ মিনিট হোক বা ১১ মিনিট, গরম জল থেকে তুলে নিয়েই ঠান্ডা জলের তলায় রেখে দিন। তার পর খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে নিন।
কিন্তু যদি ফ্রিজ ছাড়াই রাখা থাকে, তা হলে গোটা প্রক্রিয়া থেকেই ১ মিনিট করে করে কমাতে হবে। যেমন, নরম সাদা অংশ ও তরল কুসুমের ডিম পেতে ৪ মিনিটের বদলে ৩ মিনিট ধরে ফুটন্ত জলে রাখতে হবে।