চিকেন কলমি টেংরি কবাব। ছবি- সংগৃহীত
ডায়েট মেনে চলা, স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কি ভালমন্দ খেতে ইচ্ছে করে না? নিশ্চয়ই করে। পুষ্টিবিদরাও একটানা ডায়েট মেনে চলতে বারণই করেন। মাঝেমধ্যে স্বাদ পাল্টালে যেমন মুখের রুচি ফেরে, তেমন অন্ত্রের স্বাস্থ্যও রক্ষা হয়। তবে এক টানা বাড়ির খাবার খেতে খেতে হঠাৎ বাইরের রগরগে খাবার খেলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা হতেই পারে। তাই বাড়িতেই চিনা থেকে মুঘলাই, সব বানানোর চেষ্টা করে ফেলেছেন। কিন্তু বিরিয়ানি বাড়িতে বানানো গেলেও আপনার পছন্দের ‘চিকেন কলমি টেংরি কবাব’ কি বাড়িতে বানানো যায়?
বাইরের খাবার খেতে সমস্যা হলে, তা বন্ধ করতেই হবে। তাই বলে খাওয়া কিন্তু বন্ধ হবে না। কবাব খাওয়ার ইচ্ছে হলে, খুব সহজেই বাড়িতে বানিয়ে ফেলতে পারেন। কী ভাবে বানাবেন, রইল তার প্রণালী।
উপকরণ:
মুরগির ঠ্যাং: ৩টি
জল ঝরানো দই: আধ কাপ
ক্রিম: ১ টেবিল চামচ
আদা কুচি: ১ টেবিল চামচ
রসুন কুচি: ১ টেবিল চামচ
লেবুর রস: ১ টেবিল চামচ
হলুদ: আধ চা চামচ
কাজু বাদাম বাটা: ১ টেবিল চামচ
গরম মশলা: ১ চা চামচ
শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো: ১ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
প্রণালী:
১) প্রথমে একটি বড় পাত্রে দই, ক্রিম, আদা, রসুন বাটা এবং লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২) এর মধ্যে একে একে দিয়ে দিন হলুদ, কাজু বাদাম বাটা, জিরে গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, গোল মরিচ গুঁড়ো এবং নুন।
৩) ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে ওই মিশ্রণের মধ্যে মুরগির ঠ্যাংগুলি দিয়ে দিন। খুব ভাল হয় যদি আগের দিন রাত থেকে ওই মিশ্রণের মধ্যে রেখে দিতে পারেন।
৪) এ বার কড়াইতে তেল গরম করুন। তেলের মধ্যে মশলা মাখানো মুরগির ঠ্যাংগুলি দিয়ে ভেজে নিন।
৫) ১০-১৫ মিনিট পর মুরগির ঠ্যাঙে সোনালি রং ধরলে এবং মাংস সেদ্ধ হলে কড়াই থেকে তুলে নিন।
৬) বাড়িতে যদি অভেন বা তন্দুর করার যন্ত্র থাকে, তা হলে কবাবের আসল স্বাদ এবং গন্ধ আসবে।