তাঁর বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ করেছেন পরীমণি। দাবি করেছেন, স্বামী সরিফুল ইসলাম রাজের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বিদ্যা সিনহা সাহা মিমের। কে এই মিম, যাঁর বিরুদ্ধে এত বড় অভিযোগ আনলেন বাংলাদেশের নায়িকা পরীমণি?
সম্প্রতি পরীমণির স্বামী সরিফুল ইসলাম রাজের সঙ্গে দু’-দু’টি ছবি মুক্তি পেয়েছে মিমের। ‘পরাণ’ এবং ‘দামাল’। দু’টি ছবিই দারুণ হিট। সেই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মিম। সমাজমাধ্যমে সেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে পোস্টই দিয়েছেন নায়িকা। তার পরেই এল তোপ।
সমাজমাধ্যমেই তাঁকে কটাক্ষ করে পোস্ট দেন পরীমণি। মাস কয়েক আগেই মা হয়েছেন। এ বার স্বামীর ‘কেচ্ছা’ প্রকাশ্যে আসতেই জ্বলে উঠলেন। ছাড়লেন না ছবির পরিচালক রাইহান রফিকে।
পরীমণি লেখেন, “সিনেমার সাথে সাথে দালালিটাও ভাল করেন দেখি।” মিমকে তোপ, ‘‘নিজের জামাইকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত ছিল।’’ ছাড়েননি নিজের স্বামীকেও। রাজের উদ্দেশে লেখেন, “এটা এত দূর গড়াতে দেওয়া উচিত হয়নি তোমার, ধন্যবাদ।”
মিমের জন্ম কুমিল্লায়। বাবা ছিলেন শিক্ষক। মডেলিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু।
২০০৭ সালে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেন মিম। প্রথম হন তিনি। এর পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
হুমায়ুন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ ছবি দিয়ে হাতেখড়ি। এর পর একের পর এক সাফল্য। মিম পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
বার বার বিভিন্ন নায়কের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে মিমের। যদিও সম্পর্কের কথা কখনও স্বীকার করেননি। অবশেষে ২০২১ সালে ফাঁস করেন তাঁর সম্পর্কের কথা। বাগ্দানের কথাও ঘোষণা করেন।
চলতি বছরের শুরুতে ঢাকার একটি পাঁচতারায় বিয়েটাও সেরে ফেলেন মিম। স্বামীর নাম সানি পোদ্দার। তিনি এক জন ব্যাঙ্কার।
পরে সংবাদমাধ্যমকে মিম জানিয়েছিলেন, ছ’বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছেন দু’জন। সানির সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন তাঁর এক বান্ধবী। ফেসবুকের মাধ্যমেই হয়েছিল সেই আলাপ। তার পর তা থেকে প্রেম, বিয়ে।
সানির সঙ্গে বিয়ের পর এক বছরও কাটেনি। এর মধ্যেই নায়ক রাজের সঙ্গে নাম জড়াল মিমের। অভিযোগ তুললেন, নায়কের স্ত্রী। মিম অবশ্য ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।
মিম সমাজমাধ্যমে স্পষ্টই লিখেছেন, তাঁর ছবির সাফল্য নিয়ে হিংসা করেই এ সব গুঞ্জন ছড়ানো হচ্ছে। যদিও তিনি পরীমণি বা রাজ কারও নামই নেননি।
মিম সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘পরাণ ও দামাল সিনেমার সাফল্য আমাকে স্বার্থহীন ভালবাসায় ভাসাচ্ছে। আমি আপ্লুত, অভিভূত। বলতে পারি, জীবনের সেরা সময় পার করছি। ঠিক এই সময়ে একটা পক্ষ আমার পথচলায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে থামিয়ে দিতে, আমাকে জড়িয়ে নানা ধরনের কুৎসা রটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।’’
এর পরেই পোস্টে একের পর এক সাফল্য তুলে ধরেছেন মিম। জানিয়েছেন, শেষ দু’টি ছবির সাফল্য তিনি আগেও পেয়েছেন। লাক্স তাঁকে সুপারস্টারের শিরোপা দিয়েছিল। সবার ভালবাসাকে পাথেয় করে আগামী দিনেও তিনি অভিনয়টা চালিয়ে যাবেন।
মিম ইউনিসেফের জাতীয় শুভেচ্ছাদূত। সে কথাও পোস্টে লিখেছেন। জানিয়েছেন, শিক্ষক বাবার আদর্শ মেনেই অভিনয়ের মাধ্যমে ভক্তদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন তিনি। যাঁরা তাঁর নামে ‘ভিত্তিহীন’ কথা বলছেন, তাঁদের তীব্র ‘নিন্দা’ করেছেন মিম। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দরকারে দেশের আইন ব্যবস্থার সাহায্য নেবেন তিনি। ভক্তদের ‘বিভ্রান্ত’ না হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।