করাচি
শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:০১
আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকছে পাকিস্তান। গত কয়েক মাসে অর্থ সঙ্কট এতটাই প্রকট হয়েছিল যে, দু’বেলা খাবার জোগাতে হিমশিম খেতে হয়েছিল সে দেশের নাগরিকদের। এ বার সেই দেশেরই এক নাগরিক রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন। তা-ও আবার মাছ বিক্রি করে।
ছবি:সংগৃহীত।
এমন কাণ্ডই ঘটেছে পাকিস্তানে। সামান্য মৎস্যজীবী থেকে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছিলেন করাচির এক বাসিন্দা।
ছবি:সংগৃহীত।
১০টি বিরল প্রজাতির মাছ ধরেছিলেন ওই মৎস্যজীবী। সেই ১০টি মাছ বিক্রি করেই ভাগ্য খুলে গিয়েছে ওই মৎস্যজীবীর।
ছবি:সংগৃহীত।
তাঁর নাম হাজি বালোচ। ইব্রাহিম হায়দেরি জেলেপল্লিতে থাকেন ওই মৎস্যজীবী। সম্প্রতি আরব সাগর থেকে ওই মৎস্যজীবীর কর্মীরা বিরল প্রজাতির মাছ ধরেন।
ছবি:সংগৃহীত।
ওই মাছগুলি হল গোল্ডেন ফিশ। সেখানকার স্থানীয় ভাযায় যার নাম ‘সোয়া’। জানা গিয়েছে, এই মাছগুলির নানান গুণ রয়েছে। আর সেই কারণেই মহামূল্যবান।
ছবি:সংগৃহীত।
ওই প্রজাতির ১০টি মাছ পাকিস্তানি অর্থে মোট সাত কোটি টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে করাচি হারবারে। এ কথা জানিয়েছেন পাকিস্তান ফিশারমেন ফোক ফোরামের মুখপাত্র মুবারক খান।
ছবি:সংগৃহীত।
কিন্তু কেন এত দামে বিক্রি হল মাছগুলি? আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, গুণাবলির নিরিখে মাছগুলি মূল্যবান। কী গুণ রয়েছে মাছগুলির?
ছবি:সংগৃহীত।
জানা গিয়েছে, সোয়া মাছগুলি থেকে ওষুধ তৈরি করা হয়। এই মাছগুলির পেটে এমন কিছু পদার্থ রয়েছে, যা দিয়ে বিভিন্ন ওষুধ তৈরি করা হয়।
ছবি:সংগৃহীত।
শুধু তাই নয়, এই মাছগুলি থেকে সুতোর মতো এক ধরনের বস্তু পাওয়া যায়। যা থেকে অস্ত্রোপচারের সামগ্রী তৈরি করা হয়।
ছবি:সংগৃহীত।
মাছগুলির ওজন ২০ থেকে ৪০ কেজির মধ্যে হয়। লম্বায় ১.৫ মিটার পর্যন্ত হয় মাছগুলি। সেই মাছই ধরে কপাল খুলে গিয়েছে ওই মৎস্যজীবীর।
ছবি:সংগৃহীত।
ওই মৎস্যজীবীর কথায়, ‘‘করাচিতে আমরা সমুদ্রে মাছ ধরছিলাম...। তার পরেই আচমকা প্রচুর পরিমাণে গোল্ডেন ফিশ পেলাম। যা আমাদের ভাগ্য খুলে দিল।’’
ছবি:সংগৃহীত।
এই মাছ বাজারে আনতেই লক্ষ্মীলাভ হয়ে যায় ওই মৎস্যজীবীর। প্রতিটি মাছ বিক্রি হয়েছে পাকিস্তানি মুদ্রায় ৭০ লক্ষ টাকা করে।
ছবি:সংগৃহীত।
১০টি মাছ বিক্রি করে সাত কোটি টাকা পেয়েছেন ওই মৎস্যজীবী। একসঙ্গে এত টাকা পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত তিনি।
ছবি:সংগৃহীত।
ওই মৎস্যজীবীর সাত জন কর্মী রয়েছেন। এই লক্ষ্মীলাভে তাঁরাও উত্তেজিত। ভাগ্য ফিরে গিয়েছে তাঁদেরও।
ছবি:সংগৃহীত।
এত টাকা নিয়ে কী করবেন করাচির ওই মৎস্যজীবী? তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সাত কর্মীকেও ওই টাকার ভাগ দেবেন। আর্থিক দিক থেকে ধুঁকছে পাকিস্তান। এর মধ্যে সে দেশের এক মৎস্যজীবীর এ হেন লক্ষ্মীলাভের খবর তাক লাগিয়েছে।
ছবি:সংগৃহীত।
