Laser Message for Earth

পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের ৪০ গুণ দূর থেকে লেজ়ার বার্তা এল পৃথিবীতে! কে পাঠাল?

নাসা জানিয়েছে, যে দূরত্ব থেকে বার্তাটি এসেছে, তা পৃথিবী এবং চাঁদের দূরত্বের ৪০ গুণ বেশি। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে দীর্ঘতম পথ অতিক্রম করে আসা লেজ়ার বার্তা বলেও জানিয়েছে নাসা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ১০:০১
০১ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বুকে পৌঁছল লেজ়ার বার্তা। ১ কোটি ৬০ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে সেই বার্তা আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায় পৌঁছেছে।

০২ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

নাসা জানিয়েছে, যে দূরত্ব থেকে বার্তাটি এসেছে, তা পৃথিবী এবং চাঁদের দূরত্বের চেয়ে ৪০ গুণ বেশি। এটিই পৃথিবীর ইতিহাসে দীর্ঘতম পথ অতিক্রম করে আসা লেজ়ার বার্তা বলে জানিয়েছে নাসা।

০৩ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

এই প্রথম এত দূর থেকে কোনও লেজ়ার বার্তা পৃথিবীতে এসে পৌঁছাল। কিন্তু কে বা কারা পাঠাল এই এই বার্তা? তা হলে কি ভিন্‌গ্রহীরা এই বার্তা পাঠাল?

Advertisement
০৪ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

আদতে তেমনটা নয়। পৃথিবীরই এক মহাকাশযান থেকে এই বার্তা পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে।

০৫ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে তাদের পাঠানো ‘সাইকি’ মহাকাশযানে থাকা একটি যন্ত্রের সাহায্য পুরো বিষয়টি সম্ভব হয়েছে।

Advertisement
০৬ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

‘সাইকি’ মহাকাশযানে ‘ডিপ স্পেস অপটিক্যাল কমিউনিকেশনস (ডিএসওসি)’ নামে এক বিশেষ যন্ত্র রয়েছে। সেই যন্ত্রের সাহায্যেই এই পরীক্ষা করা হয়েছে।

০৭ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে গত ১৩ অক্টোবর যাত্রা শুরু করেছিল সাইকি মহাকাশযানটি। যাত্রা শুরুর এক মাস পরে ১৪ নভেম্বর সেটি পৃথিবীতে একটি লেজ়ার বার্তা পাঠাতে সফল হয়েছে।

Advertisement
০৮ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

সাইকি মহাকাশযানটি ক্যালিফোর্নিয়ার পালোমার মানমন্দিরে থাকা হেল টেলিস্কোপের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। পরীক্ষার সময় ডিএসওসি-র কাছাকাছি ইনফ্রারেড ফোটনগুলি সাইকি থেকে পৃথিবীতে আসতে ৫০ সেকেন্ড সময় নিয়েছিল।

০৯ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

নাসার এক উচ্চপদস্থ কর্তা ট্রুডি কর্টেস জানিয়েছেন, ডিএসওসি-র এত দূর থেকে লেজ়ার বার্তা পাঠানোর বিষয়টি নতুন নজির গড়েছে।

১০ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির ডিএসওসি-র প্রজেক্ট টেকনোলজিস্ট বলেন, ‘‘ডিএসওসি থেকে আসা লেজ়ার ফোটন সফল ভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। আমরা তথ্যও প্রকাশ করতে পারি। যা বোঝায় যে আমরা মহাকাশের গভীর থেকে ‘আলোর বিট’ বিনিময় করতে পারি।’’

১১ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

সাইকি মহাকাশযানের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল অনন্য ধাতব গ্রহাণু ‘সাইকি’তে পৌঁছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো। গন্তব্যে পৌঁছনোর পথে বার বার পৃথিবীর দিকে লেজ়ার সঙ্কেত পাঠানোর কথা রয়েছে মহাকাশযানটির। মহাকাশযানটি ২০২৯ সালে গ্রহাণুতে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।

১২ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

সাইকি গ্রহাণুটি মঙ্গল এবং বৃহস্পতি গ্রহের মাঝে রয়েছে। ইটালীয় জ্যোতির্বিদ অ্যানিবেলে ডি গ্যাসপারিস ১৮৫২ সালের ১৭ মার্চ এই গ্রহাণু আবিষ্কার করেন।

১৩ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

গ্রিক দেবী ‘সাইকি’র নামে গ্রহাণুটির নামকরণ করা হয়েছে। মহাবিশ্বে এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত বড় গ্রহাণুগুলির মধ্যে সাইকি অন্যতম। গ্রহাণুটির গড় ব্যাস প্রায় ২২০ কিলোমিটার।

১৪ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

কিন্তু কেন এই গ্রহাণুর দাম এত বেশি? সাইকি গ্রহাণুর প্রায় সমগ্র অংশ লোহা এবং নিকেল দিয়ে তৈরি। গ্রহাণুটির বেশ কিছু অংশ সোনা দিয়ে তৈরি বলেও দাবি করেন বিজ্ঞানীদের একাংশ।

১৫ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

বিজ্ঞানীদের অনুমান, আমেরিকার বর্তমান বাজার অনুযায়ী, ১৬ সাইকির আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোয়াড্রিলিয়ন ডলার। যেখানে বিশ্বের অর্থনীতি ৭৪ ট্রিলিয়ন ডলারের।

১৬ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

অর্থাৎ ১৬ সাইকি গ্রহাণুটির মোট মূল্য পৃথিবীর সমস্ত মুদ্রার ১ লক্ষ ৩৫ হাজার গুণ বেশি। এর অর্থ, কোনও দেশ যদি এই বহুমূল্য পাথর দখল করতে সক্ষম হয়, তা হলে বিশ্বের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে ফেলার ক্ষমতা থাকবে ওই দেশের।

১৭ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

নাসা মনে করছে, ১৬ সাইকিতে যে লোহা এবং নিকেল রয়েছে, তার ঘনত্ব পৃথিবীতে পাওয়া লোহা এবং নিকেলের ঘনত্বের থেকে বেশি।

১৮ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

১৬ সাইকির দিকে অনেক দিন ধরেই নজর রেখেছে নাসা। এই গ্রহাণুর কাছে অনেক দিন ধরে একটি মহাকাশযান পাঠানোরও পরিকল্পনা করছিল আমেরিকার গবেষণা সংস্থা। অবশেষে অক্টোবর মাসে সেই মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে।

১৯ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

নাসার এক কর্তা বিল নেলসন একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘সাইকি অভিযান মানবজাতিকে গ্রহ গঠন সম্পর্কে নতুন তথ্য সরবরাহ করতে পারে।’’

২০ ২০
Earth Receives Laser beam Message from 16 million km deep space

বর্তমানে, গভীর মহাকাশ থেকে ‘পেটের মধ্যে থাকা’ যন্ত্রের মাধ্যমে লেজার বার্তা পাঠাচ্ছে মহাকাশযানটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও গ্যালারি