২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়েছিল রামলালার ঘর তৈরির জন্য অনুদান সংগ্রহের কাজ। মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে তিনটি বছর। আর দিন কয়েক পরেই উদ্বোধন হবে রামমন্দিরের। তার আগে কত অনুদান জমা পড়ল? জানা গেল ট্রাস্ট সূত্রে।
তিন বছর আগে রামমন্দির নির্মাণের জন্য অনুদান সংগ্রহ শুরু হয়েছিল। তার সূচনা করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি রামমন্দিরের নির্মাণকল্পে রাষ্ট্রপতি দান করেছিলেন পাঁচ লক্ষ ১০০ টাকা। তার পর থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, ধর্মগুরুরা অনুদান দেওয়া শুরু করেন।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এবং আরএসএস কর্মীরাও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করেছেন।
আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধনের আগে জানা গেল, অনুদান হিসাবে মোট কত টাকা জমা পড়েছে ট্রাস্টের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত যত অনুদান জমা পড়েছে, সবটাই ঢুকেছে ট্রাস্টের একটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
প্রায় প্রতি দিনই অন্তত দু’লক্ষ টাকা করে অনুদান জমা পড়ে। মাসে অনুদানের অঙ্ক দাঁড়ায় এক কোটি টাকা। অনুদান কখনও অনলাইনে জমা পড়ে, কখনও আবার চেক এবং নগদে মেলে।
সব মিলিয়ে গত তিন বছরে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা অনুদান হিসাবে জমা পড়েছে বলে খবর ট্রাস্ট সূত্রে।
ট্রাস্টের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, রামমন্দির নির্মাণে এখনও পর্যন্ত সব চেয়ে বেশি অঙ্কের অনুদান দিয়েছেন ধর্মগুরু মোরারি বাপু। তিনি ১১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন।
বিদেশে, মূলত আমেরিকা, কানাডা এবং ব্রিটেনে তাঁর যাঁরা অনুগামী রয়েছেন, তাঁদের থেকে এসেছে আরও আট কোটি টাকা।
ছবি: এক্স
১১ কোটি টাকা দান করেছেন গুজরাতের হিরে ব্যবসায়ী গোবিন্দভাই ঢোলাকিয়া। আরও বেশ কয়েক জন হিরে ব্যবসায়ী অনুদান দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম মহেশ কবুতরওয়ালা দিয়েছেন ৫ কোটি।
হিরে ব্যবসায়ী গোবিন্দভাই ঢোলাকিয়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
লোভেজি বাদশা দান করেছেন এক কোটি টাকা। রামমন্দির নির্মাণের জন্য এক কোটি টাকা দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর।