Work from home

Pandemic: চাকরি ছাড়তে আপত্তি নেই, তবু অফিসে আর ফিরতে চান না কর্মীরা

আমেরিকা ও ইউরোপে ৭০ শতাংশের বেশি সংস্থা ভাবছে ‘হাইব্রিড মডেল’-এ কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা। অধিকাংশ কর্মী বাড়ি থেকে বেশিটা কাজ করবেন। মাঝেমধ্যে অফিসে যাবেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২১ ১৮:২৮
গত এক বছরে কর্মীরা জেনে গিয়েছেন, বাড়ি থেকে অনেক কাজই করে ফেলা সম্ভব।

গত এক বছরে কর্মীরা জেনে গিয়েছেন, বাড়ি থেকে অনেক কাজই করে ফেলা সম্ভব। ফাইল চিত্র

প্রতিষেধক দেওয়ায় বহু দেশেই কমতে শুরু করেছে সংক্রমণের হার। আবার পুরনো অভ্যাসে ফেরার পালা। অফিস যাওয়া শুরু হবে। বাড়ি থেকে কাজ বন্ধ হওয়ার মুখে। কিন্তু অফিসে আর ফিরতে চান না বহু কর্মী। তার থেকে চাকরি ছেড়ে দেওয়াও ভাল বলে মনে করেন তাঁরা। কারণ, বাড়ি থেকে কাজ করলে অনেক অর্থ এবং সময় বাঁচে বলেই বক্তব্য কর্মীদের বড় অংশের।

আমেরিকা ও ইউরোপে ৭০ শতাংশের বেশি সংস্থা ভাবছে ‘হাইব্রিড মডেল’-এ কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা। যে ব্যবস্থায় অধিকাংশ কর্মী বাড়ি থেকে বেশিটা কাজ করবেন। আর মাঝেমধ্যে অফিসে যাবেন। ইউরোপের এক মার্কেট রিসার্চ সংস্থা ‘ফরেস্টার’-এর সমীক্ষায় ধরা পড়েছে এ তথ্য। গুগল বা ফোর্ড মোটররের মতো সংস্থা এ বিষয়ে কর্মীদের ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে।

Advertisement

তবে ৩০ শতাংশ সংস্থা এখনও সে অভ্যাস মেনে নিতে পারছে না। যেমন এ মাস থেকেই আমেরিকা ও ব্রিটেনের কর্মীদের অফিসে ফিরতে বলবে গোল্ডম্যান সাচস। আরও কিছু সংস্থার কর্তৃপক্ষও কর্মীদের বোঝাতে শুরু করেছেন অফিস থেকে কাজ করার গুরুত্ব। কারও কারও ভয়, বাড়ি থেকে কাজ করার প্রবণতা বাড়লে কাজের সংস্কৃতি বদলে যাবে। দল বেঁধে কাজ করার যে ভাবনা বহু সংস্থায় ছিল, তা আর থাকবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

সে যা-ই হোক না কেন, বাড়ি থেকে কাজেই বিশ্বাস রাখছেন অধিকাংশে। অফিসে ফিরতে হল চাকরি ছেড়ে দেবেন বলেও স্থির করে ফেলেছেন বেশ অনেকে। গত এক বছরে তাঁরা জেনে গিয়েছেন, বাড়ি থেকে অনেক কাজই করে ফেলা সম্ভব। ফলে রোজ অফিস যাতায়াতের ঝামেলা রাখতে চান না তাঁরা। অনেকে আবার ভয়ে আছেন সে সব সহকর্মীকে নিয়ে, যাঁরা প্রতিষেধক নিচ্ছেন না।

আরও পড়ুন
Advertisement