Menstrual Pain

অফিসে ঋতুস্রাব নিয়ে কথা বলে বিপাকে তরুণী, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের রোষের মুখে পড়তে হল

ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা সহকর্মীর সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের রোষের মুখে পড়লেন এক মহিলা কর্মী। সমাজমাধ্যমের পাতায় নিজেই সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:২১
Symbolic image.

ছবি: সংগৃহীত।

ঋতুস্রাব মহিলাদের স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় একটি প্রক্রিয়া। মাসের কয়েকটি দিন অস্বস্তি থাকেন মহিলারা। শারীরিক নানা সমস্যা, যন্ত্রণা দেখা দেয়। সেই যন্ত্রণার কথা সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করে নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের রোষের মুখে পড়লেন এক মহিলা কর্মী। সমাজমাধ্যমের পাতায় নিজেই সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন তিনি।

Advertisement

পেশায় তিনি একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। সংস্থার সুপারভাইজার পদে কাজ করেন। ঘটনার দিন শারীরিক ভাবে দুর্বল ছিলেন তিনি। কিন্তু কাজের চাপ থাকায় ছুটি নেওয়ার কোনও উপায় ছিল না। তাই শারীরিক কষ্ট সহ্য করেও অফিসে আসেন। তবে কাজের ফাঁকে মাঝেমাঝেই ক্লান্ত হয়ে প়ড়ছিলেন। সেটা দেখেই পাশে বসে থাকা অন্য এক মহিলা সহকর্মী জানতে চান, শরীর খারাপ লাগছে কি না। জবাবে তিনি জানিয়েছিলেন, ঋতুস্রাবের যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন। কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। সহকর্মী তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, একটু বিশ্রাম নিয়ে কাজ করার। তার পর বিষয়টি মিটে যায়। কিছু ক্ষণ পরেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। ঋতুস্রাব নিয়ে তিনি কেন অফিসে আলোচনা করেছেন, সে বিষয়ে কৈফিয়ত চাওয়া হয়। তার পরে তাঁকে বেশ ক়়ড়া ভাষায় অপমানও করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এক জন মহিলা।

তিনি লিখেছেন, ‘আমি জানতাম না যে স্বাভাবিক একটি বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলা যায় না। আমাকে বলা হয়েছে ঋতুস্রাবের ব্যথা হলেও তা নিজের মধ্যেই চেপে রাখতে। অন্য কোনও সহকর্মীর কাছে তা যেন প্রকাশ না পায়।’ এই পোস্টের পর অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘ঋতুস্রাব নিয়ে প্রকাশ্যে যত কথা হবে, ততই এই বিষয়টি থেকে গোপনীয়তার পর্দা সরে যাবে।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement