পেটের যন্ত্রণা অবহেলা করেই বিপদ। ছবি: সংগৃহীত।
ঋতুস্রাবের ক’দিন অনেক মহিলাই পেটে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন। তবে তলপেটে যন্ত্রণা মানেই ঋতুস্রাবের ব্যথা নয়। এমন ভুল অনেকেই করে বসেন, যার ফল হতে পারে মারাত্মক। ৩৯ বছর বয়সি ফে লুইজ় বেশ কিছু দিন ধরে পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। ফে মনে করেছিলেন, এই যন্ত্রণা বুঝি ঋতুস্রাবের। তবে এই ভুলে তাঁর জীবন চলে যেত। যন্ত্রণা বাড়াবাড়ি পর্যায় পৌঁছে যাওয়ায় চিকিৎসকের কাছে যান ফে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি জানতে পারেন তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। শুধু তা-ই নয়, চিকিৎসকেরা তাঁকে জানান যে, তিনি ক্যানসারের শেষ পর্যায় পৌঁছে গিয়েছেন।
ফে-র অ্যাপেনডিক্সে একটি বিরল প্রকারের টিউমার হয়েছিল। সেই থেকেই শুরু হয় যন্ত্রণা। প্রথমে যদিও চিকিৎসকেরাও ধরতে পারেননি আদতে কী হয়েছে তাঁর। প্রাথমিক পর্যায় চিকিৎসকেরা মনে করেছিলেন হয়তো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেই ব্যথা হচ্ছে ফে-র। তবে ওষুধ খেয়েও যখন যন্ত্রণা কমছিল না, তখন চিকিৎসকেরা আলট্রাসাউন্ড করেন। রিপোর্টে জানা যায়, তাঁর পেটে ১৭ সেন্টিমিটারের সিস্ট রয়েছে। তবে মহিলার অ্যাপেনডিক্সে একটি ফোলা ভাব চোখে পড়ে চিকিৎসকেদের। জানা যায়, অ্যাপেনডিক্সে ক্যানসার ছড়িয়েছে। ক্যানসারের কথা শুনে ভেঙে পড়েন ফে। তিনি ইনস্টাগ্রামের অনুরাগীদের সঙ্গে নিজের পরিস্থিতির কথা ভাগ করে নেন। তিনি বলেন, ‘‘ক্যানসারের কথা জানতে পেরে আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ি। দু’বছর আগে ক্যানসারেই মাকে হারিয়েছি আমি। তাই নিজের ক্যানসার হয়েছে শুনে বাঁচার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। ওই দিনগুলি আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল।’’
তবে ফে-র ৩০ বছর বয়সি প্রেমিক তাঁকে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত করেছেন। শেষমেশ অস্ত্রোপচার করাতে রাজি হন মহিলা। ক্যানসারের কোষ ছড়িয়ে পড়ার কারণে মহিলার শরীর থেকে গলব্লাডার, প্লীহা, ক্ষুদ্রান্ত্র-সহ মোট ৮টি অঙ্গ কেটে বাদ দিয়ে দেন চিকিৎসকেরা। আপাতত তিনি সুস্থ। তবে ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগীদের তিনি বলেছেন, পেটের যন্ত্রণার মতো সাধারণ উপসর্গ হতে পারে ক্যানসারের ইঙ্গিত, তাই ভুলেও এই সব উপসর্গ অবহেলা করবেন না।