প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
সুস্থ ঝকঝকে দাঁত বহুদিন ভাল রাখতে দন্ত চিকিৎসকেরা কয়েক মাস অন্তর পুরনো টুথব্রাশ বদলে ফেলার উপদেশ দিয়ে থাকেন। করোনাকালে দাঁতের স্বাস্থ্যের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। ব্রাশ বদলাচ্ছেন, ভাল কথা। কিন্তু পুরনো ব্রাশগুলি ফেলে পৃথিবীর আবর্জনা বাড়ানো খুব একটা কাজের কথা নয়। তার চেয়ে এই ব্রাশগুলি জমিয়ে রাখুন। রোজকার জীবনের অনেক কাজ সহজ হয়ে যাবে টুথব্রাশেই।
১। জুতো পরিষ্কার: জুতোর গায়ে ধুলো-ময়লা-কাদা লেগে থাকলে গুঁড়ো সাবান মাখিয়ে রেখে দিন। তারপর ধোয়ার আগে পুরনো টুথব্রাশের সাহায্যে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। অনেক সহজে পরিষ্কার হয়ে যাবে। পুরনো হাওয়াই চপ্পল বা বাড়িতে পরার চটিও এভাবে পরিষ্কার করতে পারেন। চামড়ার জুতোর বিভিন্ন কোণে ধুলে লেগে থাকলেও টুথব্রাশ দিয়ে চমৎকার পরিষ্কার হবে।
২। টাইল্স পরিষ্কার: রান্নাঘরের সিঙ্ক, গ্যাসের উপরের টাইল্স, কাউন্টার টপ— এগুলি ঝকঝকে রাখার উপায় কী? বেকিং সোডা এবং ভিনিগার লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর টাইল্সের ফাঁকে ফাঁকে কিংবা সিঙ্কের কোণে টুথব্রাশ দিয়ে একটু ঘষলেই সব দাগ নিমেষে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৩। চিরুনি পরিষ্কার: চিরুনির সরু দাঁড়াগুলির ভিতর থেকে নোংরা পরিষ্কার করার উপায় কী? গরম জলে একটু গুঁড়ো সাবান বা শ্যাম্পু দিয়ে গুলে চিরুনিগুলি ভিজিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। তারপর জল থেকে তুলে টুথব্রাশ দিয়ে ঘষলেই নাছোড়বান্দা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৪। অন্তর্বাস পরিষ্কার: মেয়েদের অন্তর্বাস পরিষ্কার করে ধোওয়া কিন্তু বেশ ঝক্কির কাজ। ওয়াশিং মেশিনে দিতে পারবেন না। সফ্ট প্যাডেড বা আন্ডারওয়্যার থাকে সেই বরাবর নোংরা জমে। সবচেয়ে বেশি নোংরা জমে ব্রা স্ট্র্যাপে। সাবান জলে ভিজিয়ে রাখুন। কাচার সময়ে পুরনো টুথব্রাশ দিয়ে স্ট্র্যাপ বা আন্ডারওয়্যার বরাবর ঘষলেই নোংরা উঠে যাবে সহজে।
৫। কি-বোর্ড পরিষ্কার: কি-বোর্ডে সবচেয়ে বেশি ধুলো জমে থাকে। এবং তা পরিষ্কার করাও বেশ কঠিন। তাই একটু পুরনো ব্রাশ দিয়ে যদি পরিষ্কার করেন, অনেক তাড়াতাড়ি জমে থাকা ধুলে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৬। ঠোঁটের যত্ন: ঠোঁট শুকিয়ে যাচ্ছে? একটি ঘরোয়া লিপ স্ক্রাব বানিয়ে নিন। তারপর পুরনো কিন্তু পরিষ্কার ব্রাশ দিয়ে আলতো হাতে ঠোঁটের উপরে ঘষতে থাকুন। ধীরে ধীরে ঠোঁট সব মৃত কোষ উঠে আসবে।