প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
বৃহস্পতিবার থেকে লকডাউনের আরও কিছু নিয়ম শিথিল হল রাজ্যে। জিম খোলার অনুমতি পেলেও তা ভর্তি করা যাবে ৫০ শতাংশ। করোনার ভয়ে এমনিই অনেক সদস্য জিমে ফিরতে চাইছেন না। ব্যবসা ভাল না চলায় কলকাতার একাধিক জিম মালিক জিম বন্ধই রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। তা হলে কি এবার থেকে শরীরচর্চার প্রশিক্ষণ হবে অনলাইনেই? খোঁজ নিল ‘আনন্দবাজার অনলাইন’।
সল্টলেকের প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী আগে নিয়মিত জিমে যেতেন। কিন্তু গত বছর থেকে সেটা বন্ধ করে দিয়েছেন। ‘‘লকডাউন খুললেও অতিমারি তো চলে যায়নি। বাড়িতে যেমন শরীরচর্চা করতাম, তেমনই চালিয়ে যাব,’’ বললেন প্রসেনজিৎ। জিমে গেলে নানা রকম সরঞ্জাম পাওয়া যেত শরীরচর্চার জন্য। কিন্তু বাড়ির ভিতর এবং ছাদে নানা রকম কার্ডিয়ো করেও চলে যায় তাঁর। পাশাপাশি সাইক্লিং করেন তিনি।
মেকআপ শিল্পী মৈনাক দাসের অবশ্য অন্য কথা বললেন। ‘‘রোজকার কাজে তো বেরোতেই হচ্ছে, তা হলে জিমে গেলে কি দোষ? আর এখন জিমে ভিড় কম হবে। টিকা নেওয়া থাকলে তবেই প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। স্যানিটাইজেশনও ভাল করেই করা হবে। তবে প্রথম সপ্তাহটা আমি একটু দেখে নিয়ে ১২ তারিখে পর থেকে যাব ঠিক করেছি,’’ বললেন মৈনাক।
একেক জনের একেক রকম মত। তাতে জিমের ব্যবসা ভালই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক জিম বন্ধও হয়ে গিয়েছে শহরে। অনেকেই ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে বা অনলাইনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন জিমের প্রশিক্ষকদের থেকেই। তা হলে কি ভবিষ্যতে পুরো ইন্ডাস্ট্রিটাই মুঠোফোনের পরদায় চলে যাবে? শরীরচর্চার প্রশিক্ষক সুমনা দত্ত বর্মন তেমন মনে করেন না। তাঁর মতে দু’ধরনের সুবিধাই দেওয়া হবে প্রত্যেকটা জিমে। ‘‘কয়েক জন থাকবেন, যাঁরা অবশ্যই জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করতে চাইবেন। যতই ভিডিয়ো কলে আমি কাউকে ব্যায়াম করাই, শরীরের কিছু কিছু ভঙ্গি ঠিক করা সম্ভব শুধু সামনে থেকে। তাই জিমের কদর থাকবেই। কিন্তু এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা খুবই ব্যস্ত। জিমের সময়ে অফিস থাকে বা মাসে অনেকগুলো দিন কর্মসূত্রে বাইরে যেতে হয়, তাঁরা অতিমারি চলে গেলেও অনালাইনেই প্রশিক্ষণ নেওয়ার পথ বেছে নেবেন,’’ বললেন সুমনা।
সুমনার মতো আরও অনেক প্রশিক্ষণ রয়েছেন, যাঁদের নিয়মিত খদ্দেররা হয়তো এখন লকডাউনে অন্য শহরে আটকে। বা কেউ বিদেশেই চলে গিয়েছেন। ভবিষ্যতে তাঁরা শরীরচর্চার জন্য মুঠোফোনই বেছে নেবেন বলেন মনে করছেন প্রশিক্ষকেরা।