বিশ্বকাপ শেষেই মৃত্যু। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতে পরাজয়ের পর হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হল বছর ৩৫-এর এক যুবকের। ভারত এ বার ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় করবেই করবে, এমনই প্রত্যাশা ছিল দেশবাসীর। তবে রবিবার রাতে স্বপ্নভঙ্গ হল দেশবাসীর। ২০০৩-এর মতো আবারও অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেরে গেল ভারত। ভারতের হার মেনে নিতে পারেননি বেঙ্গালুরুতে কর্মরত, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার, জ্যোতিষ কুমার যাদব। দীপাবলির ছুটিতে তিরুপতিতে বাড়ি ফিরেছিলেন জ্যোতিষ।
জ্যোতিষের পরিবার সূত্রে খবর, বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে বসেই খেলা দেখছিলেন জ্যোতিষ। হঠাৎই তাঁর বুকে ব্যথা শুরু হয়, মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জ্যোতিষের বন্ধুরা জানান, প্রথম ইনিংসে ভারতের মাত্র ২৪০ রান হওয়ার পর খুব চাপে পড়ে যান তিনি। জ্যোতিষের চোখেমুখে উদ্বেগ ও চিন্তা ধরা পড়ছিল। তার পরে প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ায় খানিকটা চিন্তামুক্ত হন জ্যোতিষ। তবে শেষে যখন অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত হয়ে যায়, তখনই বুকে ব্যথা শুরু হয় জ্যোতিষের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। কয়েক দিন পরেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল জ্যোতিষের।
বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখার পর পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া আর ওড়িশার জাজপুরেও দু’জনের মৃত্যু হয়। ম্যাচের শেষে বাঁকুড়ার ২৩ বছর বয়সি রাহুল লোহার আত্মঘাতী হন। একই ভাবে ওড়িশার ২৩ বছর বয়সি এক যুবকও আশাহত হয়ে নিজেকে শেষ করে দেন।