দীর্ঘ দিন মধু ভাল রাখার উপায়। ছবি: সংগৃহীত।
উৎসব শেষের সময় থেকেই শীতের আমেজ পড়তে শুরু করেছে। ভোরের দিকে ফ্যান বন্ধ করে গায়ে চাদরটা জড়িয়ে নিতে হচ্ছে। শীত জাঁকিয়ে না পড়লেও, ঘরে ঘরে সর্দিকাশির সমস্যা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। প্রায় সকলেই অল্পবিস্তর জ্বরে কাবু। ঠান্ডা লাগলে ওষুধ তো আছেই, তবে শীতকালীন অসুস্থতা থেকে দূরে থাকার আর একটি ঘরোয়া উপায় হল মধু। তুলসী পাতার সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে সত্যিই উপকার পাওয়া যায়। শীতকাল বলে নয়, সারা বছর মধুর গুণে সুস্থ থাকা যায়। অনেকের বাড়িতেই বছরভর মজুত করা থাকে মধু। তবে ভাল মানের মধুও বেশি দিন টাটকা থাকে না। গোটা শীতকাল মধু ভাল রাখার উপায়গুলি জানেন?
রোদ থেকে দূরে রাখুন
শীতে আমসত্ত্ব, আচার, কাসুন্দি, বড়ি রোদে দিলেও, ভুলেও মধু সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আনবেন না। মধু সব সময় ঠান্ডা, অন্ধকার জায়গাতেই ভাল থাকে। ঘরের এমন জায়গায় মধু রাখবেন না, যেখানে সূর্যের আলো আসে।
কৌটোর বাঁধন যেন আলগা না হয়
যে কৌটোতে মধু রেখেছেন, তার মুখটি যেন শক্ত করে আটকানো থাকে। কৌটো খুলে মধু নেওয়ার পর মুখটি ভাল করে আটকে দেবেন। কৌটোর মুখ আলগা থাকলে হাওয়া ঢুকে মধু নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া পিঁপড়ে ধরে যাওয়ারও ভয় থাকে।
শুকনো চামচ
ভেজা চামচ মধুর কৌটোর মধ্যে ঢোকাবেন না। সব সময় চেষ্টা করুন খটখটে শুকনো চামচ দিয়ে মধু বার করার। জল লাগলে মধু বেশি দিন ভাল থাকা সম্ভব নয়। জল মধুর আর্দ্রতা নষ্ট করে দিতে পারে। অতিরিক্ত তরল হয়ে যেতে পারে।
কাচের পাত্রে রাখুন
প্লাস্টিক কিংবা অন্য কোনও পাত্রে মধু রাখার চেয়ে কাচের বয়ামে রাখা শ্রেয়। কাচের পাত্রে রাখলে বেশি দিন ভাল থাকে। মধুর স্বাদও দীর্ঘ দিন বজায় থাকে। আচার কিংবা অন্য কোনও খাবার প্লাস্টিকের কৌটোতে রাখলেও মধু সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কাচের বয়াম আদর্শ।